
নিউজ ডেক্স
আরও খবর

‘বিচারকদের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ ছিল ষোড়শ সংশোধনী মামলার মূল উদ্দেশ্য’

ফারুকের মনোনয়ন বাতিল ও আমিনুলের মনোনয়ন কেন অবৈধ নয়: হাইকোর্ট

‘বলেন তো, আপনার স্বামী কয়জন’, মমতাজকে পিপি

কুরবানি ঈদে আফতাবনগরে বসবে না গরুর হাট: হাইকোর্ট

নড়াইলে হত্যা মামলায় একজনের যাবজ্জীবন

নারায়ণগঞ্জে যুবদলকর্মী হত্যা মামলায় পুলিশের সাবেক এসআই কনক কারাগারে

সমবায় ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যানের স্ত্রীর দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
দুদকের মামলায় যশোরে ব্যাংক কর্মকর্তার ভাগ্নের কারাদণ্ড

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় যশোরের নওয়াপাড়ার মেসার্স সৌরভ এন্টারপ্রাইজের মালিক শেখ মাসুম উল ইসলামকে ৮ বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (২০ জুন) বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ সামছুল হক রায়ে এ আদেশ দেন। দণ্ডপ্রাপ্ত মাসুম উল ইসলাম পলাতক রয়েছেন।
এছাড়া মামলার অপর আসামি ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের (ইউসিবিএল) সাবেক কর্মকর্তা মনিরুজ্জামানের মৃত্যু হওয়ায় আগেই তাকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
সাজাপ্রাপ্ত শেখ মাসুম উল ইসলাম খুলনা সদরের মির্জাপুর গ্রামের শেখ সিরাজুল ইসলামের ছেলে ও যশোর অভয়নগরের বালিয়াডাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুর্নীতি দমন কমিশন দুদকের আইনজীবী সিরাজুল ইসলাম।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, অভয়নগরের নওয়াপাড়া বাজার ইউসিবিএল শাখায় ২০০২ সালের ২ মে থেকে ২০০৯ সালের ১০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ব্যবস্থাপক হিসেবে কর্মরত ছিলেন মনিরুজ্জামান। ওই সময় মেসার্স সৌরভ এন্টারপ্রাইজের মালিক শেখ মাসুম উল ইসলামের নামে এ ব্যাংকে একটি হিসাব খোলেন। পরবর্তীসময় ব্যবস্থাপক মনিরুজ্জামান নিজে লাভবান হওয়ার উদ্দেশ্যে নিয়ম লঙ্ঘন করে এক কোটি ৩০ লাখ ৩৮ হাজার ৮৭৮ টাকা অতিরিক্ত ঋণ দেন মাসুমকে। অতিরিক্তি ঋণ মঞ্জুরের ফলে ব্যাংকের এক কোটি ২০ লাখ ৮২ হাজার ১৬১ টাকা ক্ষতি করেছেন।
বিষয়টি ব্যাংক কর্তৃপক্ষের নজরে এলে ইউসিবিএল নওয়াপাড়া শাখার ব্যবস্থাপক আনোয়ার হোসেন বাদী হয়ে ২০০৯ সালের মে মাসে দুর্নীতি দমন আইনে মনিরুজ্জামানকে আসামি করে জেলা ও দায়রা জজ আদালতে মামলা করেন।
মামলার তদন্ত প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, শাখা ব্যবস্থাপক শেখ মনিরুজ্জামানের ফুফাতো বোনের ছেলে সৌরভ এন্টারপ্রাইজের মালিক শেখ মাসুম উল ইসলাম। তারা অন্যায়ভাবে লাভবান হওয়ার উদ্দেশ্যে ক্ষমতার অপব্যবহার করে ও ব্যাংক কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা অমান্য করে অতিরিক্ত ৩০ লাখ ৩৮ হাজার ৮৭৮ টাকা ঋণ দিয়ে ব্যাংকের আর্থিক ক্ষতি করেন। এ মামলার দীর্ঘ তদন্ত শেষে মনিরুজ্জামান ও তার ভাগ্নে মাসুমকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট জমা দেন তদন্তকারী কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক ওয়াজেদ আলী গাজী।
২০২২ সালের ১৬ আগস্ট সাক্ষীদের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আসামি মাসুম উল ইসলামেরকে ৫ বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ড দেন বিচারক। এছাড়া অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ৩ বছর সশ্রম কারাদণ্ড, ১০ হাজার টাকা জরিমনা অনাদায়ে আরও ৪ মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন।
দৈনিক গণঅধিকার সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।