পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে দুর্নীতি, ইউজিসি ও মন্ত্রণালয়ের জোরালো ভূমিকা কাম্য – দৈনিক গণঅধিকার

পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে দুর্নীতি, ইউজিসি ও মন্ত্রণালয়ের জোরালো ভূমিকা কাম্য

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ২০ আগস্ট, ২০২৩ | ৯:৩৯
দেশের বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারী নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টি উদ্বেগজনক। অতীতে নিয়ম-নীতি লঙ্ঘন করে নিয়োগ, কেনাকাটা, নির্মাণসহ বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে উপাচার্যের অপকর্মে জড়ানোর অভিযোগ আসত বেশি। সম্প্রতি কোনো কোনো উপাচার্য তাদের নিকটাত্মীয়কে নিয়োগ দিতে গিয়ে কিংবা বেনামে থাকা নিজের প্রতিষ্ঠানের নামে কেনাকাটা করতে গিয়ে বিতর্কিত হয়ে পড়েছেন। উদ্বেগজনক হলো, এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) মাথাব্যথা কম। দুর্নীতিগ্রস্ত উপাচার্যদের কারণে বাকিরা ভীষণ বিব্রতকর অবস্থায় রয়েছেন। জানা যায়, ইউজিসির কয়েকজন কর্মকর্তা কোনো কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়োগ কমিটির সঙ্গে সম্পৃক্ত। অভিযোগ রয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়োগের সময় ইউজিসির কোনো কোনো কর্মকর্তার নীরব ভূমিকা দুর্নীতিবাজদের উৎসাহিত করেছে। এ কারণেই কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে নিয়োগসংক্রান্ত অভিযোগ উঠলে তা তদন্তে ইউজিসির অনীহা প্রকাশ পায়। এছাড়া ইউজিসির কেউ কেউ বিভিন্নভাবে দুর্নীতিবাজ উপাচার্যদের সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়ে পড়েছেন বলেও অভিযোগ আছে। ফলে তদন্তের পরিবর্তে কর্তৃপক্ষের উপেক্ষা নীতি প্রাধান্য পাচ্ছে। কাজেই শর্ষের ভূত তাড়াতে হবে আগে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে ইউজিসির কিছু কর্মকর্তার অতি তৎপরতাও লক্ষণীয়। সম্প্রতি একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বিরুদ্ধে স্বজনপ্রীতিসহ বেশকিছু অভিযোগ উঠেছে। একই প্রতিষ্ঠানের কোষাধ্যক্ষের বিরুদ্ধেও অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। এক্ষেত্রে উপাচার্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ তদন্তে উপেক্ষা নীতি অবলম্বন করা হলেও অন্য কর্মকর্তার অভিযোগ তদন্তে ভিন্ন নীতি অবলম্বন করা হয়েছে। কর্তৃপক্ষের এই দ্বিমুখী নীতি প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। এ ধরনের দৃষ্টান্তে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যসহ সংশ্লিষ্টদের নৈতিকতাও প্রশ্নবিদ্ধ হয়। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর আর্থিক অনিয়ম-দুর্নীতি কোনো কোনো ক্ষেত্রে শিউরে ওঠার মতো। একসময় আমাদের দেশের কোনো কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বিদেশেও ছড়িয়ে পড়েছিল। সেই সুনাম কমে যাচ্ছে কেন? বিশ্ববিদ্যালয়গুলো পরিচালনার সঙ্গে যারা যুক্ত, তারা কি এর দায় এড়াতে পারেন? কোনো পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠলে ইউজিসি ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট দুর্নীতিবাজদের চিহ্নিত করে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। এক্ষেত্রে সরকারের উচ্চপর্যায় থেকেও জোরালো দৃষ্টি দিতে হবে। আমরা আশা করব, উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রশাসনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাই নিয়ম-শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠায় ভালো দৃষ্টান্ত স্থাপন করার চেষ্টা করবেন। সমাজে শিক্ষকের মর্যাদা সমুন্নত রাখতে হবে।

দৈনিক গণঅধিকার সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ট্যাগ:

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
‘পবিত্র’ কাফনের রক্ত-রহস্য ভোরে নীলা মার্কেটে হাঁসের মাংস খেতে যান আসিফ মাহমুদ, বন্ধ থাকলে যান ওয়েস্টিনে খালেদা জিয়ার ৮১তম জন্মদিন আজ রাজশাহীতে ৪ লাঁশ উদ্ধার চারঘাটে ১২৪ বোতল ফেন্সিডিলসহ দুই মাদক ব্যবসায়ী আটক রাজশাহীতে খালেদা জিয়ার ৮১তম জন্মদিন উপলক্ষে দোয়া মাহফিল অস্ত্র বের করলেই গুলি: সিএমপি কমিশনার দুই বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে নারীসহ নিহত ৩ কুষ্টিয়ায় খাদ্য নিয়ন্ত্রক অফিসের নৈশপ্রহরীর মরদেহ উদ্ধার বৃদ্ধ শ্বশুরকে পুত্রবধু ও তার স্বজনদের নির্যাতন দৌলতপুরে মাদকবিরোধী অভিযানে সোর্স গুলিবিদ্ধ গলাচিপায় গণঅধিকার পরিষদের পক্ষ থেকে রেইনকোর্ট বিতরণ রাজনীতিতে ষড়যন্ত্র তত্ত্ব, তরুণরা কেন বেশি বিশ্বাস করে সাত মাসে ২৫৯ শিশু খুন নির্যাতনও বাড়ছে স্ত্রীর চরিত্র নিয়ে মন্তব্য করায় অলিকে হত্যার পর লাশ ৮ টুকরো করেন সাদেক: র‌্যাব রাজশাহীতে স্কুলছাত্রী অপহরণের মূলহোতা গ্রেফতার, ভিকটিম উদ্ধার নির্বাচন যদি বিলম্বিত হয় তাহলে ষড়যন্ত্রকারীরা সফল হবে: জয়ন্ত কুমার কুন্ডু গাজীপুরে সাংবাদিক তুহিন হত্যায় গ্রেপ্তার ৪ অসুস্থ স্ত্রীকে কবর দেওয়ার চেষ্টা স্বামীর, ভিডিও ভাইরাল ঢাবির হলে প্রকাশ্য ও গুপ্ত রাজনীতি বন্ধ ঘোষণা