৩ বাংলাদেশির মৃত্যু হলো আমিরাতে সোফা কারখানার অগ্নিকাণ্ডে – দৈনিক গণঅধিকার

৩ বাংলাদেশির মৃত্যু হলো আমিরাতে সোফা কারখানার অগ্নিকাণ্ডে

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ৩১ মে, ২০২৩ | ১:০৫
সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাজধানী আবুধাবিতে একটি সোফা কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে তিন বাংলাদেশির মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার (৩০ মে) সকালে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিটে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতদের সবার বাড়ি নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলায়। তারা হলেন, সেনবাগের ডমুরুয়া ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের তারাবাড়িয়া গ্রামের আবদুল কাদেরের ছেলে মো. ইউসুফ মিয়া (৪৫), একই গ্রামের মীর হোসেনের ছেলে তারেক হোসেন বাদল (৪২) ও আবদুল ওহাবের ছেলে মো. রাসেল (২৬)। একসঙ্গে তিন প্রবাসীর মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। পরিবারের দাবি মরদেহগুলো যেন দেশে আনার ব্যবস্থা করা হয়। মঙ্গলবার (৩০ মে) রাতে সরেজমিন নিহতদের বাড়িতে শোকের মাতম দেখা যায়। পরিবারের লোকজন ও আত্মীয়-স্বজনরা কান্নায় ভেঙে পড়েছেন। একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তিকে হারিয়ে অসহায় হয়ে বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েছে পরিবারের সদস্যরা। গ্রামজুড়ে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। একই গ্রামের তিন ব্যক্তির অকাল মৃত্যু মেনে নিতে পারছেন না গ্রামবাসী। নিহত রাসেলের মা শরীফা বেগম বুকচাপড়ে কান্না করে বলেন, দুই ভাই ও দুই বোনের মধ্যে রাসেল ছিল দ্বিতীয়। ঢাকার একটি ব্যাগ কারখানায় চাকরি করে সংসার চালাতো সে। তিন বছর আগে সে বিয়ে করেছে। দেড় বছর বয়সী একটি কন্যাসন্তান রয়েছে তার। জীবিকার তাগিদে ও পরিবারের খরচ চালাতে প্রায় ৬-৭ লাখ ধারদেনা করে ২০২২ সালে আবুধাবিতে যায় রাসেল। নিহত ইউছুফ মিয়ার বড় ছেলে মহিনুল ইসলাম মিলন বলেন, প্রায় ২৫ বছর আগে জীবিকার সন্ধানে আবুধাবি যায় তার বাবা ইউছুফ মিয়া। এরপর থেকে সোফা কারখানাটিতে চাকরি করতেন তিনি। সবশেষ গত পাঁচ বছর আগে দেশে এসেছিলেন। গত এক বছর আগে মালিকের কাছ থেকে কারখানাটি ক্রয় করে নিজের দেশের শ্রমিক দিয়ে সেটি পরিচালনা করে আসছিলেন তিনি। দীর্ঘধিন কষ্ট করে একার আয়ে সংসার চালিয়ে আসছিলেন তিনি। ভালো সময় আসার সঙ্গে সঙ্গে এমন দুর্ঘটনা আমাদের পরিবারকে নিঃস্ব করে দিয়েছে। এদিকে, পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ছেলে তারেক হোসেন বাদলকে হারিয়ে অনেকটা অসহায় হয়ে পড়েছেন বাবা মীর হোসেন। চার ছেলের মধ্যে দুই জনই শারীরিক প্রতিবন্ধী। এরই মধ্যে চলে গেলেন বাদল। কয়েক বছর ওমান থাকার পর ভিসায় সমস্যা থাকায় গত বছর দেশে এসে ৮ মাস আগে আবুধাবি যায় বাদল। একাদশ শ্রেণিতে অধ্যয়নরত একজনসহ তার তিন ছেলে রয়েছে। দুই ছেলে প্রতিবন্ধী হওয়ায় সংসার চালানোর দায়িত্ব তার কাঁধে ছিলো। বাদল চলে যাওয়ায় আমাদের পরিবারের সব শেষ হয়ে গেছে। নিহতের পরিবার ও স্বজনদের দাবি যেহেতু আগুনে পুড়ে তাদের মৃত্যু হয়েছে। শরীরের যেটুকু অংশ রয়েছে সেটুকু যেনো বাংলাদেশ সরকারের সহযোগিতায় দ্রুত দেশে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়।

দৈনিক গণঅধিকার সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ট্যাগ:

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
আড়াইহাজা‌রে ইয়াবার বড় চালানসহ দুই মাদক কারবারি গ্রেফতার নারায়ণগ‌ঞ্জে ভাবি-ভাতিজা খুনের দা‌য়ে দেবরের ফাঁসি গঙ্গাচড়ায় আলোচিত বাক ও বুদ্ধি প্রতিবন্ধী কিশোরী ধর্ষণ মামলার আসামি মাসুদ যশোর থেকে গ্রেফতার শেরপুরে কৃষি কর্মকর্তাকে ছাত্রদল নেতার থাপ্পড় ; অভিযুক্ত রাহাতকে বহিষ্কার মাগুরা-২ আসনে ধানের শীষের কান্ডারী এ্যাডঃ নিতাই রায় চৌধুরী চিরিরবন্দরে বাংলাদেশ জামায়াতের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত ঈদুল আজহার সম্ভাব্য তারিখ প্রকাশ চকরিয়ায় আড়াই কোটি টাকার ইয়াবাসহ ৩ ইয়াবা কারবারি গ্রেপ্তার ‘লাশের শহর’ ছাড়ছে নিরুপায় বাসিন্দারা ঋত্বিক ঘটকের ভাঙা বাড়িতে জন্মশতবর্ষ উদযাপন কুষ্টিয়ায় মনোনয়নবঞ্চিত বিএনপি নেতার সমর্থকদের দ্বিতীয় দিনে সড়ক অবরোধ ‘পবিত্র’ কাফনের রক্ত-রহস্য ভোরে নীলা মার্কেটে হাঁসের মাংস খেতে যান আসিফ মাহমুদ, বন্ধ থাকলে যান ওয়েস্টিনে খালেদা জিয়ার ৮১তম জন্মদিন আজ রাজশাহীতে ৪ লাঁশ উদ্ধার চারঘাটে ১২৪ বোতল ফেন্সিডিলসহ দুই মাদক ব্যবসায়ী আটক রাজশাহীতে খালেদা জিয়ার ৮১তম জন্মদিন উপলক্ষে দোয়া মাহফিল অস্ত্র বের করলেই গুলি: সিএমপি কমিশনার দুই বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে নারীসহ নিহত ৩ কুষ্টিয়ায় খাদ্য নিয়ন্ত্রক অফিসের নৈশপ্রহরীর মরদেহ উদ্ধার