
নিউজ ডেক্স
আরও খবর

রাজশাহীতে ৪ লাঁশ উদ্ধার

চারঘাটে ১২৪ বোতল ফেন্সিডিলসহ দুই মাদক ব্যবসায়ী আটক

রাজশাহীতে খালেদা জিয়ার ৮১তম জন্মদিন উপলক্ষে দোয়া মাহফিল

দৌলতপুরে মাদকবিরোধী অভিযানে সোর্স গুলিবিদ্ধ

গলাচিপায় গণঅধিকার পরিষদের পক্ষ থেকে রেইনকোর্ট বিতরণ

শেরপুরে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাস পুকুরে আহত ২০, নিখোঁজ ১ শিশু

তালতলীতে নৌবাহিনীর অভিযানে ৪ কেজি গাঁজাসহ আটক ২
আবার উত্তপ্ত মণিপুর, থানা ভেঙে অস্ত্র গুলি বোমা লুট

বেশ কয়েকদিন নীরব থাকার পর আবার উত্তপ্ত হয়ে উঠছে মণিপুর। বৃহস্পতিবার রাজ্যের একটি থানা ভেঙে বিভিন্ন অস্ত্রসহ ১৯ হাজারেরও বেশি বুলেট লুট করেছে অঞ্চলটির সংখ্যাগরিষ্ঠ সম্প্রদায় মেইতেই জনগোষ্ঠী। বিষ্ণুপুর জেলার নারানসিনায় অবস্থিত সেকেন্ড ইন্ডিয়া রিজার্ভ ব্যাটালিয়নের (আইআরবি) সদর দপ্তরে লুটপাটের এ ঘটনা ঘটে। একই দিন বিষ্ণপুরেরই বিতর্কিত একটি সীমানায় ফের সংঘর্ষে জড়ায় কুকি ও মেইতেইরা। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন ২৫ জন। এনডিটিভি, হিন্দুস্তান টাইমস।
দুই জাতির ধাওয়া-পালটাধাওয়া সংঘর্ষের চেয়েও ভয়ংকর ছিল পুলিশের অস্ত্রাগার লুটের ঘটনা। লুট হওয়া অস্ত্রগুলোর মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন ক্যালিবারের ১৯ হাজার রাউন্ডেরও বেশি গুলি, একটি একে সিরিজের অ্যাসল্ট রাইফেল, তিনটি ‘ঘাতক’ রাইফেল, ১৯৫টি সেলফ-লোডিং রাইফেল, পাঁচটি এমপি-৫ বন্দুক, ১৬টি ৯ মিমি. পিস্তল। এছাড়া রয়েছে ২৫টি বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট, ২১টি কারবাইন, ১২টি হ্যান্ড গ্র্যান্ড।
অস্ত্র লুটের মামলায় পুলিশের দায়ের করা এফআইআরে বলা হয়েছে, প্রচুর সংখ্যক সশস্ত্র দুর্বৃত্ত ৪৫-৫০টিরও বেশি হালকা গাড়িতে করে ৫০০ জনেরও বেশি মানুষ হেঁটে এসেছিল। তারা গেটের রক্ষীদের পরাস্ত করে দুটি দরজা ভেঙে জনতা অস্ত্রাগারে ঢুকেপড়ে লুটপাট চালায়।’ মেইতেই জনগোষ্ঠী মণিপুরের রাজধানী ইম্ফলে অবস্থিত আরও দুটি অস্ত্রাগার লুট করার ব্যর্থ চেষ্টা চালায়।
রাজ্যটিতে অস্ত্রাগার লুটের এ ঘটনা প্রথম নয়। কুকি ও মেইতেই সম্প্রদায়ের মধ্যে সহিংসতা ও দাঙ্গা শুরু হওয়ার পর থেকে একাধিক অস্ত্র লুটের ঘটনা ঘটেছে। এ পর্যন্ত চার হাজারের বেশি অস্ত্র ও লাখ লাখ গুলি লুট করেছে সহিংস জনতা। আর লুট হওয়া অস্ত্রের মধ্যে উদ্ধার করা হয়েছে মাত্র ১৬০০ অস্ত্র। বিষ্ণপুরের এই অঞ্চল থেকে প্রায় ১২ কিলোমিটার দূরের ‘চুড়াইচাদ’ জেলার সীমানায়। কুকি সম্প্রদায়ের গণদাফনের কর্মসূচি ঘিরে শুরু হয় সংঘাত। দাঙ্গায় নিহত কুকি সম্প্রদায়ের ৩৫ জনের দেহ সমাহিত করার চেষ্টা হতেই সশস্ত্র অবস্থায় বাধার সৃষ্টি করে ১০০ মেইতেই রমণী। পেছনেই ছিল তাদের পুরুষ বাহিনী। এ ঘটনায় ২৫ জনেরও বেশি আহত হয়েছে। কুকিদের যেখানে গণসমাধি দেওয়ার কথা ছিল সেই জমিটি বিরোধপূর্ণ। এটি একটি সরকার-বিজ্ঞাপিত জমি। কুকিরা জমিটিকে চুড়াইচাদ জেলার অন্তর্গত বলে দাবি করে থাকে। আর মেইতেইদের মতে এটি বিষ্ণুপুর জেলার অন্তর্গত। সংঘর্ষের দিন সকালে মণিপুর হাইকোর্টের এক শুনানিতে প্রস্তাবিত গণদাফন স্থগিত করা হয়েছিল। কুকি সম্প্রদায় দাবি করেছিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনায় তারা এই কর্মসূচি স্থগিত করেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে টিয়ার শেল নিক্ষেপ করে র্যাপিড অ্যাকশন ফোর্স (আরএএফ)।
একই দিনে রাজধানী ইম্ফলের পশ্চিম-কাংপোকপি সীমান্তের নিকটবর্তী কোরতুকে মণিপুর রাইফেলস কর্মী টি ঋষিকে পাহাড় থেকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এই পুলিশ সদস্যকে হত্যার পর এলাকায় কারফিউ শিথিল করার অনুমতি প্রত্যাহার করা হয়েছে। মণিপুরে জাতিগত সংঘর্ষ শুরু হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত ১৬০ জনেরও বেশি মানুষ তাদের প্রাণ হারিয়েছে। আহত হয়েছে কয়েক শতাধিক। মণিপুরে তিন মাসেরও বেশি সময় ধরে চলছে এই জাতিগত সহিংসতা।
দৈনিক গণঅধিকার সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।