
নিউজ ডেক্স
আরও খবর

ভাবির কাটা মাথা নিয়ে হাঁটছেন দেবর

গাজায় ইসরাইলি হামলায় নিহত আরও ৭২

গাজায় ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রে মানুষের ব্যাপক ভিড়, ফাঁকা গুলি

আসামে বাংলাদেশি সন্দেহে ৫০ ভারতীয় নাগরিককে গ্রেফতার

স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশ থেকে পোশাক আমদানি বন্ধ করল ভারত

টর্নেডোর তাণ্ডবে বিপর্যস্ত যুক্তরাষ্ট্র, প্রাণহানি বেড়ে ২১

ইসরাইলি হামলায় একদিনে প্রাণ গেল আরও ৪০ ফিলিস্তিনির
রাশিয়ায় ইউক্রেনের ড্রোন হামলা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র-জার্মানির ভিন্নমত

রাশিয়ার ভেতরে বিভিন্ন স্থাপনা টার্গেট করে ইউক্রেনের ড্রোন হামলা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও জার্মানির মধ্যে ভিন্নমত লক্ষ্য করা গেছে।
মার্কিন প্রশাসন রাশিয়ার ভূখণ্ডে ড্রোন হামলার প্রতি সমর্থন না জানালেও জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইউক্রেনের আত্মরক্ষার অধিকারের আওতায় এমন পদক্ষেপ আইনসিদ্ধ বলে মনে করছেন৷
বুধবার মস্কোর বাণিজ্যিক এলাকায় আবার ড্রোন হামলা হয়েছে বলে রুশ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে৷ এ নিয়ে পর পর ছয় দিন ধরে রাশিয়ার রাজধানী এলাকায় এমন হামলার খবর পাওয়া গেল।
ইউক্রেনের ওপর রাশিয়ার লাগাতার ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলার জবাব হিসেবে কিয়েভ এমন পালটা হামলা চালাচ্ছে, সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই৷ তবে ইউক্রেন সরাসরি সে বিষয়ে মন্তব্য করছে না৷
রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সূত্র অনুযায়ী এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম বুধবার দুটি ড্রোন ধ্বংস করেছে৷ তৃতীয়টি ‘চাপের মুখে’ ক্রেমলিনের পাঁচ কিলোমিটার দূরত্বের মধ্যে একটি ভবনের উপর আছড়ে পড়েছে৷ তবে হতাহতের কোনো খবর নেই৷
রাশিয়ার ইজভেস্তিয়া সংবাদপত্র টেলিগ্রাম চ্যানেলে সেই ঘটনার একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে৷
রাশিয়ার হামলার মুখে ইউক্রেনের প্রতিরোধের অধিকার সম্পর্কে পশ্চিমা জগতে কোনো সংশয় না থাকলেও সরাসরি রাশিয়ার ভূখণ্ডে হামলার বিষয়ে অস্বস্তি কাজ করছে৷
তবে জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী আনালেনা বেয়ারবক মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে খোলাখুলি ইউক্রেনের এই পদক্ষেপের প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন৷
তার মতে, আন্তর্জাতিক আইনের আওতায় আক্রান্ত দেশ হিসেবে ইউক্রেন আত্মরক্ষার তাগিদে এমন হামলা চালাতেই পারে৷ রাশিয়া- যেভাবে ইউক্রেনের নিরীহ মানুষ, অবকাঠামো থেকে শুরু করে শস্যভাণ্ডারের উপর ক্রমাগত হামলা চালিয়ে যাচ্ছে, বেয়ারবক সেই পদক্ষেপেরও নিন্দা করেন৷
মার্কিন প্রশাসন অবশ্য রাশিয়ার ভূখণ্ডে ইউক্রেনের হামলা সম্পর্কে অস্বস্তি জানিয়েছে৷
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র বলেন, আমেরিকা মোটেই এই কাজে উৎসাহ বা মদত দিচ্ছে না৷ তবে রাশিয়ার আগ্রাসনের মুখে কীভাবে প্রতিরোধ করবে, সেই সিদ্ধান্ত একমাত্র ইউক্রেনই নিতে পারে৷
তার মতে, যে কোনো মুহূর্তে ইউক্রেন থেকে সরে গিয়ে রাশিয়া এই যুদ্ধ বন্ধ করতে পারে৷
উল্লেখ্য, গত বছর ফেব্রুয়ারি মাস থেকে রাশিয়ার হামলার মুখে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনকে বিশাল সামরিক ও অন্যান্য সহায়তা দিয়ে আসছে৷ ন্যাটো ও অন্যান্য কাঠামোর মধ্যে সে দেশের জন্য সমর্থন ও সহায়তার ক্ষেত্রেও নেতৃত্ব দিচ্ছে ওয়াশিংটন৷
সূত্র: ডয়চে ভেলে
দৈনিক গণঅধিকার সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।