কে হবেন লোকসভার স্পিকার ? – দৈনিক গণঅধিকার

কে হবেন লোকসভার স্পিকার ?

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ১০ জুন, ২০২৪ | ৫:২১
নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন অতীতের দুটি সরকার ফল ঘোষণার ১০ ও ৭ দিনের মাথায় শপথ নিয়েছিল। এবার ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) এককভাবে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে পারেনি। সরকার গঠনে জোট শরিকদের সঙ্গে একাধিক আলোচনায় বসতে হয়েছে বিজেপি নেতৃত্বকে, বিশেষ করে টিডিপির চন্দ্রবাবু নাইডু ও জেডিইউ-এর নীতীশ কুমারের সঙ্গে। মূলত মন্ত্রণালয় ভাগাভাগি নিয়ে এই আলোচনা। এরপরও ৭২ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ মন্ত্রিসভা নিয়ে ফল ঘোষণার ৪ দিনের মাথায় শপথ নিতে সক্ষম হয়েছেন মোদি। তবে এখনও একটি বড় প্রশ্ন রয়ে গেছে–কে হচ্ছেন লোকসভার স্পিকার ? একাধিক খবরে দাবি করা হয়েছে, টিডিপি ও জেডিইউ উভয় দলের পদটির ওপর নজর রয়েছে। কিন্তু বিজেপি সূত্র মতে, এমন কিছু করতে আগ্রহী নয় মোদির দল। স্পিকার কীভাবে নির্বাচিত হন: ভারতের সংবিধান অনুসারে, নতুন লোকসভার প্রথম অধিবেশনের আগ মুহূর্তে স্পিকারের পদ শূন্য হয়। প্রেসিডেন্ট মনোনীত সাময়িক স্পিকার নতুন এমপিদের শপথ পাঠ করান। পরে সংখ্যাগরিষ্ঠদের ভোটে লোকসভার নতুন স্পিকার নির্বাচিত হন। স্পিকার হওয়ার জন্য নির্দিষ্ট কোনও যোগ্যতার কথা সংবিধানে উল্লেখ নেই। তবে সংসদীয় জ্ঞান থাকাকে সুবিধাজনক হিসেবে মনে করা হয়। গত দুটি দুটি লোকসভায় বিজেপির সংখ্যাগরিষ্ঠতা ছিল। স্পিকার ছিলেন সুমিত্রা মহাজন এবং ওম বিরলা। একটি কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ পদ: লোকসভা স্পিকারের পদটি একটি কৌশলগত গুরুত্বপূর্ণ পদ। লোকসভার অধিবেশন পরিচালনাকারী হিসেবে স্পিকারের দল নিরপেক্ষ হওয়ার কথা। তবে যিনি এই সম্মানজনক পদে আসীন হন তিনি নির্দিষ্ট একটি দল থেকে নির্বাচিত প্রতিনিধি হয়ে লোকসভায় আসেন। কংগ্রেসের প্রবীণ নেতা এন সঞ্জিবা রেড্ডি স্পিকার নির্বাচিত হওয়ার পর দল থেকে পদত্যাগ করেছিলেন। পিএ সাঙ্গমা, সোমনাথ চট্টোপাধ্যায় ও মেইরা কুমার আনুষ্ঠানিকভাবে দল থেকে পদত্যাগ করেননি। কিন্তু তারা আশ্বাস দিয়েছিলেন কোনও দলের নন। এমনকি নিরপেক্ষ অবস্থান নেওয়ার কারণে সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়কে দল থেকে বহিষ্কার করেছিল সিপিএম। ২০০৮ সালে কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউপিএ সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা ভোটের সময় এই ঘটনা ঘটেছিল। এনডিএ মিত্ররা কেন স্পিকার পদ চায়: চন্দ্রবাবু নাইডু ও নীতীশ কুমার রাজনীতিতে প্রবীণ এবং ‘নিশ্চয়তা’ হিসেবে স্পিকারের পদ চাইছেন উভয়েই। গত কয়েক বছর ধরে ক্ষমতাসীন দলগুলোর মধ্যে একটি ‘বিদ্রোহ’ হয়েছে, যা জোটে ভাঙন ধরিয়েছে। এমনকি সরকারের পতনও হয়েছে। এমন ঘটনার ক্ষেত্রে দল ত্যাগ-বিরোধী আইন সামনে আসে এবং তখন স্পিকারের পদটি অনেক প্রভাবশালী হয়ে ওঠে। আইনে বলা হয়েছে, কোনও সদস্যের পক্ষত্যাগের ইস্যুতে অযোগ্য ঘোষণার ক্ষেত্রে চেয়ারম্যান বা লোকসভার স্পিকারের সিদ্ধান্ত নেওয়ার নিরঙ্কুশ ক্ষমতা রয়েছে। অতীতে নীতীশ কুমার বিজেপির বিরুদ্ধে তার দলে ভাঙন তৈরির অভিযোগ করার নজির রয়েছে। আর তাই সরকার গঠনে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠা দুই প্রবীণ রাজনীতিক কোনও দলীয় বিদ্রোহের মুখে পড়তে চান না এবং এমন যেকোনও কৌশলের বিরুদ্ধে স্পিকারের পদকে ঢাল হিসেবে কাজে লাগাতে চাইছেন তারা। সূত্র: এনডিটিভি

দৈনিক গণঅধিকার সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ট্যাগ:

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
‘পবিত্র’ কাফনের রক্ত-রহস্য ভোরে নীলা মার্কেটে হাঁসের মাংস খেতে যান আসিফ মাহমুদ, বন্ধ থাকলে যান ওয়েস্টিনে খালেদা জিয়ার ৮১তম জন্মদিন আজ রাজশাহীতে ৪ লাঁশ উদ্ধার চারঘাটে ১২৪ বোতল ফেন্সিডিলসহ দুই মাদক ব্যবসায়ী আটক রাজশাহীতে খালেদা জিয়ার ৮১তম জন্মদিন উপলক্ষে দোয়া মাহফিল অস্ত্র বের করলেই গুলি: সিএমপি কমিশনার দুই বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে নারীসহ নিহত ৩ কুষ্টিয়ায় খাদ্য নিয়ন্ত্রক অফিসের নৈশপ্রহরীর মরদেহ উদ্ধার বৃদ্ধ শ্বশুরকে পুত্রবধু ও তার স্বজনদের নির্যাতন দৌলতপুরে মাদকবিরোধী অভিযানে সোর্স গুলিবিদ্ধ গলাচিপায় গণঅধিকার পরিষদের পক্ষ থেকে রেইনকোর্ট বিতরণ রাজনীতিতে ষড়যন্ত্র তত্ত্ব, তরুণরা কেন বেশি বিশ্বাস করে সাত মাসে ২৫৯ শিশু খুন নির্যাতনও বাড়ছে স্ত্রীর চরিত্র নিয়ে মন্তব্য করায় অলিকে হত্যার পর লাশ ৮ টুকরো করেন সাদেক: র‌্যাব রাজশাহীতে স্কুলছাত্রী অপহরণের মূলহোতা গ্রেফতার, ভিকটিম উদ্ধার নির্বাচন যদি বিলম্বিত হয় তাহলে ষড়যন্ত্রকারীরা সফল হবে: জয়ন্ত কুমার কুন্ডু গাজীপুরে সাংবাদিক তুহিন হত্যায় গ্রেপ্তার ৪ অসুস্থ স্ত্রীকে কবর দেওয়ার চেষ্টা স্বামীর, ভিডিও ভাইরাল ঢাবির হলে প্রকাশ্য ও গুপ্ত রাজনীতি বন্ধ ঘোষণা