কোরবানির বিধান, গুরুত্ব ও ফজিলত – দৈনিক গণঅধিকার

নিউজ ডেক্স
প্রকাশিতঃ ১১ জুন, ২০২৪
সময়ঃ ৯:০২ পূর্বাহ্ণ

আরও খবর

ইসলামের দৃষ্টিতে বাজেট

যেসব কারণে রোজার ক্ষতি হয় না

কুরআনের সপ্তম পারায় যা যা আলোচনা হয়েছে

দেশ ও সংস্কৃতি ভেদে রমজান মাসে সেহরি ও ইফতারে খাবারের ধরন ভিন্ন হয়ে থাকে। এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশে ভাজাপোড়া খাবার বেশ প্রচলিত, যা সাধারণত খুব একটা স্বাস্থ্যকর হয় না। বেশিরভাগ রোজাদারের ইফতারে তেলে ভাজা এবং সেহরিতে ভারী খাবারের প্রাধান্য থাকে। জনস্বাস্থ্যবিদ ও পুষ্টিবিদদের মতে, অস্বাস্থ্যকর সেহরি ও ইফতার নানা রোগ-ব্যাধির ঝুঁকি বাড়ায়। ফলে এ জাতীয় খাবার পরিহার করা উচিত। তাদের পরামর্শ-দিনভর রোজা রেখে শরীরে যে শক্তি ও পুষ্টির চাহিদা থাকে তা পূরণে সেহরি ও ইফতারে এমন খাবার খেতে হবে যেগুলো প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট, ভিটামিন ও মিনারেল সমৃদ্ধ। একই সঙ্গে যথেষ্ট পানি পানে গুরুত্ব দিতে হবে। সাধারণত রমজানে সেহরি ও ইফতারকে কেন্দ্র করে বাহারি খাবার বিক্রি বেড়ে যায়। মৌসুমি ব্যবসায়ীদের খোলা বাজারে অস্বাস্থ্যকর ও তেলে ভাজা মুখরোচক খাবার বিক্রির ধুম পড়ে। বেগুনি, পিঁয়াজু, জিলাপি, আলুর চপ, ছোলা, সবজি চপ, বুন্দিয়া ছাড়াও স্পেশাল আইটেম হিসাবে হালিম বিক্রির হাঁকডাক চলে। বিশেষ করে পুরান ঢাকার চকবাজারে ইফতার, সেহরির জন্য তৈরি অতিরিক্ত তেল ও মসলাযুক্ত গুরুপাক খাবার যেন দেশীয় সংস্কৃতি তথা ঐতিহ্যের অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে। অনেকের খাদ্য তালিকায় প্রসেস ফুড কিংবা ফাস্টফুডও যুক্ত হতে দেখা যায়। অনেকে খোলা বাজারে তৈরি অস্বাস্থ্যকর শরবত, জুস, কোমল পানীয় পানে তৃপ্তির ঢেকুর তোলেন। চিকিৎসা বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সারা দিন রোজা রাখার পর ভাজা-পোড়া খাবার গ্রহণে স্বাভাবিকভাবেই গ্যাস্ট্রিক বা অ্যাসিডিটি সৃষ্টি করতে পারে। অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরি ভাজা-পোড়া খাবারগুলো শরীরের শিরা-ধমনিতে চর্বির পুরুত্ব বাড়িয়ে দেয়। এতে বুকে ব্যথা, হৃদরোগ, উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি বাড়ে। খোলামেলা নোংরা পরিবেশে তৈরি ও বিক্রি হওয়া খাবারে ডায়রিয়ার ঝুঁকি থাকে। দীর্ঘক্ষণ রোজা রেখে শরীরে এমনিতেই পানির ঘাটতি থাকে। অনেকে ইফতারে অতিরিক্ত চিনিযুক্ত শরবত, কোমল পানীয় কিংবা বাজারের প্যাকেটজাত শরবত পান করেন। কেউ ইফতার শেষে চা, কফি, অ্যালকোহলও পান করেন। কেউ মিষ্টি ও মিষ্টি জাতীয় খাবার খেয়ে থাকেন। অতিরিক্ত চিনিযুক্ত শরবত খেলে কোষরে পানি শুষে নেয়, শরীর পানিশূন্য হয়ে পড়ে। ফলে অবসাদ, অতিরিক্ত ক্লান্তি কিংবা তীব্র মাথাব্যথা হতে পারে। যারা ওজনাধিক্যে ভুগছেন তারা চিনিযুক্ত শরবত খেলে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা খুব কঠিন হয়ে যায়। শুধু তাই নয়, রোজায় অতিরিক্ত তেলে ভাজা খাবার খেলে ট্রান্সফ্যাট বেড়ে যেতে পারে। এতে অ্যাসিডিটি, গ্যাসের সমস্যা, কনস্টিপেশন (কোষ্ঠকাঠিন্য) ও আলসার হতে পারে। রোজা রেখে একাধিক ডাল ও ডাল জাতীয় খাবার খেলে শরীরে ইউরিক এসিড বাড়ে। কিডনির ওপর অতিরিক্ত চাপ পড়ে, রক্তের ক্রিয়েটিনিন বেড়ে বিভিন্ন ধরনের শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। ইমেরিটাস অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ বলেন, রমজান মাসে আমাদের দেশীয় সংস্কৃতিতে কিছু খাদ্যাভাস আছে। বিক্রেতারা রাস্তাঘাটের পাশে তেলে ভাজাসহ নানা পদের মিষ্টিজাতীয় ও ভারী খাবারের পসরা সাজিয়ে বসেন। এগুলো খাওয়ায় নিষেধ নেই, তবে বাইরে খাবার না খেয়ে স্বাস্থ্যসম্মতভাবে ঘরে তৈরি করে পরিমিতভাবে খাওয়া উত্তম। সেহরির ক্ষেত্রেও একই পন্থা অবলম্বন করা উচিত। এক্ষেত্রে ডায়াবেটিস রোগীরা চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ডায়েট চার্ট মেনে চলবেন। ইবনে সিনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সিনিয়র পুষ্টিবিদ সিরাজাম মুনিরা বলেন, প্রায় ১৫ থেকে ১৬ ঘণ্টা রোজা রাখায় শরীরে ইলেকট্রোলাইটস ইমব্যালান্স হয়। ফলে ইফতারে ট্র্যাডিশনাল ও মিষ্টি জাতীয় খাদ্য গ্রহণ করলে শরীরের রক্তে সুগারের পরিমাণ বেড়ে যায়। এতে বুক ধড়ফড়, অতিরিক্ত ঘাম ঝরা, মাথাঘোরা, হাইপোগ্লাইসোমিয়া (রক্তে গ্লুকোজ বা শর্করার মাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে কমে যাওয়া) হতে পারে। বিশেষ করে হার্ট ও ডায়াবেটিস রোগীরা অসুস্থ হয়ে পড়তে পারেন। তিনি বলেন, ইফতারে ডাবের পানি পানে শরীরে ইলেকট্রোলাইটস ঘাটতি পূরণ করে সাহায্য করে। অনেকে পলিথিনে ভরে ডাবের পানি কেনেন। ফুডগ্রেডহীন পলিথিনে থাকা প্লাস্টিক ন্যানো পার্টিকেল পানির কার্যকারিতা একেবারেই নষ্ট করে ফেলে। ওই পানি পানে ক্যানসার, অটিজমসহ বিভিন্ন ইমিউনোলজিক্যাল ডিজঅর্ডারের সম্ভাবনা বেড়ে যায়। সেহরিতে কী খাবেন : পুষ্টিবিদদের মতে, সেহরি হতে হবে সুপাচ্য, সহজে হজমযোগ্য, পর্যাপ্ত ক্যালরি সমৃদ্ধ সুষম খাবারের সমন্বয়। খাদ্য তালিকায় সব গ্রুপের খাবার থাকতে হবে যেমন-প্রোটিন, শর্করা, ফ্যাট, ভিটামিন ও মিনারেলযুক্ত খাবার ও পর্যাপ্ত পরিমাণে ফাইবার জাতীয় খাবার। সম্ভব হলে লাল চালের ভাত কিংবা লাল আটার রুটি খেতে পারলে ভালো। শরীরে ভিটামিন ও মিনারেলস পাওয়ার জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে তাজা শাক-সবজি ও ফলমূল রাখতে হবে। ইফতারে খাবার কেমন হবে : ইফতারে অবশ্যই একটি অথবা দুটি খেজুর খাওয়া উচিত। খেজুরে রয়েছে বিভিন্ন ভিটামিন ও মিনারেলস এবং যথেষ্ট পরিমাণে ডাইটারি ফাইবার। খেজুরের ইনস্ট্যান্ট সুগার বা চিনি ক্লান্তি দূর করে। স্বাভাবিক পানি ও পানি জাতীয় খাবার, দই, চিড়া, কলা, সবজি খিচুড়ি খাওয়া যেতে পারে। শসা কুচি, গাজর, টমেটো, ধনেপাতা, পুদিনাপাতা ও সরিষার তেল দিয়ে সালাদ করে খাওয়া যেতে পারে। এছাড়া মৌসুমি তাজা ও মৌসুমি ফল গ্রহণে প্রাধান্য দেওয়া উচিত।

চাঁদ দেখা গেছে, সৌদি আরবে রোজা শুরু শনিবার

কাদিয়ানীদের অমুসলিম ঘোষণার দাবিতে বায়তুল মোকাররমে খতমে নবুওয়তের সমাবেশ

জান্নাত লাভে মুমিনের আত্মত্যাগ

কোরবানির বিধান, গুরুত্ব ও ফজিলত

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ১১ জুন, ২০২৪ | ৯:০২
কোরবানি করা মহান আল্লাহর নির্দেশ। পৃথিবীতে কোরবানির সূচনা হয়েছে আদম (আ.)-এর দুই সন্তান হাবিল-কাবিলের মাধ্যমে। ইবরাহিম (আ.) ও ইসমাঈল (আ.)-এর কোরবানির অবিস্মরণীয় ঘটনাকে কেন্দ্র করে উম্মতে মুহাম্মদির ওপর কোরবানি ওয়াজিব করা হয়েছে। কোরআন-হাদিসে কোরবানির গুরুত্ব, বিধান ও ফজিলত বর্ণিত হয়েছে । কোরবানি সংক্রান্ত কয়েকটি হাদিস উল্লেখ করা হলো— কোরবানি করা ওয়াজিব: মুহাম্মাদ ইবনে সিরিন (রহ.) বলেন, আমি ইবনে ওমর (রা.)-এর কাছে কোরবানি সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলাম যে তা ওয়াজিব কি না? তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) কোরবানি করেছেন এবং তার পরে মুসলমানরাও কোরবানি করেছেন এবং এই বিধান অব্যাহতভাবে প্রবর্তিত হয়েছে। (তিরমিজি,হাদিস : ১৫০৬; ইবনে মাজাহ, হাদিস : ৩১২৪) প্রতিবছর কোরবানি আবশ্যক: মিখনাফ ইবনে সুলাইম (রহ.) বলেন, আমরা আরাফাতের ময়দানে রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর কাছে অবস্থানরত ছিলাম। তখন তিনি বলেন, হে জনগণ! প্রত্যেক পরিবারের পক্ষ থেকে প্রতিবছর একটি কোরবানি ও একটি আতিরা আছে। তোমরা কি জান আতিরা কী? তা হলো যাকে তোমরা ‘রাজাবিয়া’ বলো। (ইবনে মাজাহ, হাদিস : ৩১২৫) কোরবানি আল্লাহর প্রিয়: আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেছেন, কোরবানির দিন রক্ত প্রবাহিত করা (জবাই করা) অপেক্ষা আল্লাহর কাছে বেশি প্রিয় মানুষের কোনো আমল হয় না। কিয়ামতের দিন এর শিং, লোম, পায়ের খুর সবসহ উপস্থিত হবে।‌ এর রক্ত মাটিতে পড়ার আগেই আল্লাহর কাছে বিশেষ মর্যাদা পৌঁছে যায়। সুতরাং স্বচ্ছন্দ হৃদয়ে তোমরা তা করবে। (তিরমিজি, হাদিস : ১৪৯৩; ইবনে মাজাহ, হাদিস : ১৪৯৩) মহানবী (সা.)-এর কোরবানি: জাবির ইবনে আবদুল্লাহ (রা.) বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে কোরবানির ঈদে প্রত্যক্ষ করেছি। তিনি খুতবা প্রদান শেষ করে মিম্বার থেকে নেমে এলেন। একটি মেষ আনা হলো। রাসুল (সা.) নিজের হাতে সেটিকে জবাই করেন। বলেন, ‘বিসমিল্লহি আল্লাহু আকবার’। এটি হলো আমার পক্ষ থেকে এবং আমার উম্মতের মধ্যে যারা কোরবানি দিতে পারেনি তাদের পক্ষ থেকে। (আবু দাউদ, হাদিস : ২৫০১; তিরমিজি, হাদিস : ১৫২১) সর্বোচ্চ ৭ জন শরিক: জাবির (রা.) বলেন, আমরা হজের ইহরাম বেঁধে রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সঙ্গে রওনা হলাম। তিনি আমাদের প্রতিটি উট বা গরু সাতজনে মিলে কোরবানি করার নির্দেশ দিলেন। (মুসলিম, হাদিস : ৩০৫৬) কোরবানির অযোগ্য পশু: উবাইদ ইবনে ফাইরুজ (রহ.) বলেন, আমি বারা ইবনে আজিব (রা.)-কে বললাম, রাসুলুল্লাহ (সা.) যে ধরনের পশু কোরবানি করতে অপছন্দ অথবা নিষেধ করেছেন সে সম্পর্কে আমাদের বলুন। তখন তিনি বলেন, রাসুল (সা.) তাঁর হাতের ইশারায় বলেন, এরূপ আর আমার হাত তাঁর হাতের চেয়ে ক্ষুদ্র। চার ধরনের পশু দিয়ে কোরবানি করলে তা যথেষ্ট হবে না। অন্ধ পশু, যার অন্ধত্ব সুস্পষ্ট; রুগ্ণ পশু, যার রোগ সুস্পষ্ট; পঙ্গু পশু, যার পঙ্গুত্ব সুস্পষ্ট এবং কৃশকায় দুর্বল পশু, যার হাড়ের মজ্জা শুকিয়ে গেছে। উবাইদ (রহ.) বলেন, আমি ত্রুটিযুক্ত কানবিশিষ্ট পশু কোরবানি করা অপছন্দ করি। বারা (রা.) বলেন, যে ধরনের পশু তুমি নিজে অপছন্দ করো তা পরিহার করো এবং অন্যদের জন্য তা হারাম কোরো না। (ইবনে মাজাহ, হাদিস : ৩১৪৪ ) কোরবানি করার সময়: বারা (রা.) বলেন, নবী করিম (সা.) বলেছেন, আমাদের এই দিনে আমরা সর্বপ্রথম যে কাজটি করব, তা হলো নামাজ আদায় করব। এরপর ফিরে এসে আমরা কোরবানি করব। যে ব্যক্তি এভাবে তা আদায় করল সে আমাদের নীতি অনুসরণ করল। আর যে ব্যক্তি আগেই জবাই করল, তা এমন গোশতরূপে গণ্য, যা সে তার পরিবার-পরিজনের জন্য আগাম ব্যবস্থা করল। এটা কিছুতেই কোরবানি বলে গণ্য নয়। তখন আবু বুরদা ইবনে নিয়ার (রা.) দাঁড়ালেন, আর তিনি (নামাজের) আগেই জবাই করেছিলেন। তিনি বলেন, আমার কাছে একটি বকরির বাচ্চা আছে। নবী করিম (সা.) বলেন, তা-ই জবেহ করো। তবে তোমার পরে আর কারো পক্ষে তা যথেষ্ট হবে না।(বুখারি, হাদিস : ৫১৪৭ ) কোরবানি না করার পরিণাম: আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) ইরশাদ করেন, যে ব্যক্তি সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও কোরবানি না করে সে যেন আমাদের ঈদের মাঠের কাছেও না আসে। (ইবনে মাজাহ, হাদিস : ৩১২৩ ) কোরবানি করার সওয়াব: জায়িদ ইবনে আরকাম (রা.) বলেন, সাহাবিরা বলেন, হে আল্লাহর রাসুল (সা.) এই কোরবানি কী? তিনি বলেন, তোমাদের পিতা ইবরাহিম (আ.)-এর সুন্নত। তাঁরা আবার জিজ্ঞাসা করেন, হে আল্লাহর রাসুল! এতে আমাদের জন্য কি (সওয়াব) আছে? তিনি বলেন, প্রতিটি পশমের বিনিময়ে একটি করে নেকি রয়েছে।‌ তাঁরা বলেন, হে আল্লাহর রাসুল! লোমশ পশুদের পরিবর্তে কী হবে (এদের পশম তো অনেক বেশি)? তিনি বলেন, লোমশ পশুর প্রতিটি পশমের বিনিময়েও একটি করে নেকি আছে। (ইবনে মাজাহ, হাদিস : ৩১২৭ ) কোরবানির বিশেষ প্রতিদান: আবু সাঈদ খুদরি (রা.) বলেন, রাসুল (সা.) ইরশাদ করেন, হে ফাতেমা! তুমি তোমার কোরবানির জন্তুর নিকট যাও। কেননা তোমার কোরবানির জন্তু জবেহ করার পর রক্তের ফোঁটা মাটিতে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে তোমার যাবতীয় গুনাহ মাফ হয়ে যাবে। ফাতেমা (রা.) জিজ্ঞেস করলেন, হে আল্লাহর রাসুল! এটা কি শুধু আমরা যারা আহলে বাইত তাদের জন্য, না সব মুসলিমের জন্য? রাসুলুল্লাহ (সা.) জবাব দিলেন, এটা আমাদের জন্য এবং এটা সব মুসলমানের জন্য। কথাটি তিনি দুইবার বলেন। (মুস্তাদরাক হাকেম, হাদিস : ৭৫২৪) কোরবানি করার নিয়ম: শাদ্দাদ ইবনে আওস (রহ.) বলেন, রাসুল (সা.) থেকে আমি দুটি কথা স্মরণ রেখেছি। তিনি বলেছেন, আল্লাহ তাআলা প্রত্যেক বিষয়ে তোমাদের ওপর ইহসান (যথাসাধ্য সুন্দররূপে সম্পাদন করা) অত্যাবশ্যক করেছেন। সুতরাং তোমরা যখন কাউকে হত্যা করবে, তখন উত্তম পন্থার সঙ্গে হত্যা করবে।‌ আর যখন জবেহ করবে, তখন উত্তম পন্থার সঙ্গে জবেহ করবে। তোমাদের প্রত্যেকে যেন তার ছুরি ধার করে নেয় এবং তার জবেহকৃত জন্তুকে শাস্তি প্রদান না করে (অহেতুক কষ্ট না দেয়)। (মুসলিম, হাদিস : ৪৮৯৭) কোরবানি করার দোয়া: জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ (রা.) বলেন, কোরবানির দিন নবীজি (সা.) দুটি শিংবিশিষ্ট সাদা ও কালো রং মিশ্রিত দুম্বা কোরবানির উদ্দেশ্যে কিবলামুখী করে শোয়ান এবং এই দোয়া পাঠ করেন—‘ইন্নি ওয়াজ্জাহতু ওয়াজহিয়া লিল্লাজি ফাতারাস সামাওয়াতি ওয়াল আরদা হানিফা ও ওয়ামা আনা মিনাল মুশরিকিন। ইন্না সালাতি ওয়া নুসুকি ওয়া মাহইয়ায়া ও মামাতি লিল্লাহি রাব্বিল আলামিন। লা শারিকালাহু ওয়া বিজালিকা উমিরতু ওয়া আনা আওওয়ালুল মুসলিমীন। আল্লাহুম্মা মিনকা ওয়া লাকা আন মুহাম্মাদিন ওয়া উম্মাতিহি।’ এরপর তিনি ‘বিসমিল্লাহি আল্লাহু আকবার’ বলে দুম্বাকে জবাই করেন।‌ (আবু দাউদ, হাদিস : ২৭৮৬ ) কোরবানির গোশতের বিধান: সুলাইমান ইবনে বুরায়দা, তার পিতা বুরায়দা (রা.) বলেন, রাসুল (সা.) ইরশাদ করেন, আমি তোমাদের তিন দিনের পরও কোরবানির গোশত খেতে নিষেধ করেছিলাম, যেন সচ্ছল ব্যক্তিরা অসামর্থ্য ব্যক্তিদের উদারভাবে তা দিতে পারে। এখন তোমরা যা ইচ্ছা খাও। অন্যকেও খাওয়াও এবং সঞ্চয়ও করে রাখতে পারো। (তিরমিজি, হাদিস : ১৫১০)

দৈনিক গণঅধিকার সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ট্যাগ:

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
আটিগ্রাম মাঠে ঈদের সন্ধ্যায় মানুষের ভিড়, পুলিশের দায়িত্বশীল ভূমিকা প্রশংসনীয় মিরপুরে সাবেক চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আব্দুল হক আর নেই এডভোকেট নুরুল ইসলাম দুলাল আর পৃথিবীতে নেই শেরপুরে ৭ গ্রামে আগাম ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত কুষ্টিয়ায় সেনা অভিযানে সন্ত্রাসী লিপটন ও তার তিন সহযোগী আটক ‘বিচারকদের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ ছিল ষোড়শ সংশোধনী মামলার মূল উদ্দেশ্য’ দক্ষিণ চট্টগ্রামের শীর্ষ সন্ত্রাসী ডাকাত শাহিন রামু সেনাবাহিনীর হাতে অস্ত্র ও মাদক সহ আটক কুষ্টিয়া বাসীকে ঈদ শুভেচ্ছা জানিয়েছেন কাজল মাজমাদার খোলা ট্রাক-পিকআপে ঝুঁকি নিয়ে বাড়ি ফিরছে মানুষ দুই ভাতিজিকে কুপিয়ে হত্যা, ঘাতক চাচা গ্রেপ্তার রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা ছাড়াই বাজেট দিয়েছে সরকার: বিএনপি রেড ক্রসে চাকরির সুযোগ, আবেদন করুন আজই মিরপুরে জামায়াত ইসলামী থেকে উপজেলা, পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের প্রার্থী ঘোষণা মিরপুরে পুলিশের অভিযানে সাজাপ্রাপ্ত দুই ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি গ্রেপ্তার বাবার সঙ্গে গরু বিক্রি করতে এসে পানিতে ডুবে প্রাণ গেল ফয়সালের এবার ঢাকাবাসীকে নিয়ে নিজেই শপথ পড়ার ঘোষণা ইশরাকের ফারুকের মনোনয়ন বাতিল ও আমিনুলের মনোনয়ন কেন অবৈধ নয়: হাইকোর্ট নিখোঁজ সংবাদ জাপানের সহযোগিতায় কুষ্টিয়াসহ চার জেলার মেডিকেল বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম শুরু মেহেরপুর মুজিবনগরে ১১০০ পিস ইয়াবাসহ ১ জন আটক