 
                                                        
                                নিউজ ডেক্স                            
                        আরও খবর
 
                                ঈশ্বরদীতে টানা ৪০ দিন মসজিদে নামাজ পড়ে বাইসাইকেল উপহার পেলেন শিক্ষার্থীরা
 
                                মাহফিলে পদদলিত হয়ে আহত ৩০
 
                                একদল যায়, আরেক দল এসে লুটে খায়
 
                                রূপপুরে গ্রিনসিটির ৪ তলা থেকে লাফ দিয়ে রুশ নারীর আত্মহত্যা
 
                                কুষ্টিয়ায় সেনাবাহিনীর অভিযানে বিএনপি নেতার বাড়ি থেকে অস্ত্র-বোমা উদ্ধার
 
                                মধুখালীতে সাংবাদিকের বাবা-মাসহ ৩ জনকে কুপিয়ে জখম
 
                                আজও পঞ্চগড়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ
খুলনায় চাহিদার তুলনায় পশু বেশি ৫ লাখ
চামড়া পাচার রোধে কঠোর নজরদারি
 
                             
                                               
                    
                         পবিত্র ঈদুল আজহা সামনে রেখে খুলনায় কোরবানিযোগ্য পশু প্রস্তুতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষক ও খামারিরা। এ বছর বিভাগের ১০ টি জেলায় কোরবানি উপযোগী পশুর চাহিদার চেয়ে ৫ লাখ ১২ হাজার ৮৮৫ টি বেশি আছে। ফলে সংকট হবে না। উদ্বৃত্তগুলো দেশের বিভিন্ন স্থানের চাহিদার জোগান দেবে। পাশাপাশি এবার কোরবানির পশুর চামড়া যাতে পাচার না হয়, সেজন্য সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে প্রশাসন।
খামারিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ইতোমধ্যে খামারগুলো থেকে অধিকাংশ কোরবানির পশু বিক্রি হয়ে গেছে। অনেকে আগেভাগে অগ্রিম টাকা দিয়ে গেছেন। গোখাদ্যের দামসহ লালন-পালন ব্যয় বেশি হওয়ায় অন্য বছরের তুলনায় বেশি দামে পশু বিক্রি করছেন তারা। যেসব পশু আছে, সেগুলো বাজারে তুলছেন।
প্রাণিসম্পদ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, গত বছর খুলনা বিভাগে কোরবানি হয়েছে ৯ লাখ ৪৯ হাজার ৫৮১টি পশু। এ বছর বিভাগের ১০ জেলায় চাহিদা রয়েছে ১১ লাখ ৬ হাজার ৫৩২টির। মজুত আছে ১৬ লাখ ১৯ হাজার ৪১৭টি। উদ্বৃত্ত থাকবে ৫ লাখ ১২ হাজার ৮৮৫টি। বিভাগে খামারির সংখ্যা ১ লাখ ৩৮ হাজার ৫৪ জন। এর মধ্যে খুলনায় ১০ হাজার ৫৫২, বাগেরহাটে ৮ হাজার ৩২০, সাতক্ষীরায় ১২ হাজার ৮৮৯, যশোরে ১৪ হাজার ১৩৫, ঝিনাইদহে ২৩ হাজার ১২৬, মাগুরায় ৫ হাজার ৮৩৬, নড়াইলে ৪ হাজার ৪৭৮, কুষ্টিয়ায় ১৮ হাজার ১৯৩, চুয়াডাঙ্গায় ১০ হাজার ৯২৭ জন ও মেহেরপুরে ২৯ হাজার ৬০৮ জন।
খুলনা জেলা প্রাণিসম্পদ দফতরের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, বিগত বছরগুলোতে বিভাগে চাহিদার তুলনায় কোরবানির পশুর সংখ্যা কম থাকলেও এ বছর চাহিদার চেয়ে বেশি আছে। খুলনায় ৪১ হাজার ২৭৬টি ষাড়, ১১ হাজার ৯৬৩টি বলদ, ১৩ হাজার ৭১৮টি গাভিসহ ৬৬ হাজার ৯৫৭টি গরু মজুত আছে। পাশাপাশি ৯৭টি মহিষ, ৭৮ হাজার ৩৬৪টি ছাগল ও ১৪ হাজার ৮৩৪টি ভেড়াও রয়েছে। এবার চাহিদা রয়েছে এক লাখ ৩৪ হাজার ৪৪৩টির। কোরবানি দেওয়ার পরও ২১ হাজার ৮৩৫টি পশু উদ্বৃত্ত থাকবে।
পাইকগাছার সোলাদানা এলাকার আমিনুর সরদার বলেন, ‘আমার ২০ লাখ টাকার মুরগি, গরু-ছাগল ও চিংড়ি মাছ ছিল। ঘূর্ণিঝড়ে সেগুলো আক্রান্ত হয়েছিল। তবে গরু-ছাগলগুলো এবার ভালো দামে বিক্রি করছি।’
খুলনা জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড় রিমালের আঘাতে খুলনার খামারিরা বেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। কিছু পশু আক্রান্ত হয়েছে। আবার কিছু মারাও গেছে। তবে তা কোরবানিতে কোনও প্রভাব ফেলবে না। কারণ চাহিদার চেয়ে বেশি পশু মজুত আছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘খামারিরা যাতে পছন্দ অনুযায়ী হাটে কোরবানির পশু বিক্রি করতে পারেন এবং জোর করে কেউ পথে পশু নামাতে না পারে, সেজন্য খামারিরা চাইলে পুলিশ ও আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারবেন। স্থানীয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।’
খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার মো. মোজাম্মেল হক বলেন, ‘দক্ষিণাঞ্চলের জেলাগুলোতে কোরবানির পশুর চামড়া পাচার বড় সংকট হিসেবে বিবেচিত হয়। এবার বিভাগের যেকোনও জেলা থেকে চামড়া পাচার রোধে নজরদারি বাড়ানোসহ সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে পুলিশ।’  
                    
                    
                                                            
                    
                                    


দৈনিক গণঅধিকার সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।