
নিউজ ডেক্স
আরও খবর

ঈশ্বরদীতে টানা ৪০ দিন মসজিদে নামাজ পড়ে বাইসাইকেল উপহার পেলেন শিক্ষার্থীরা

মাহফিলে পদদলিত হয়ে আহত ৩০

একদল যায়, আরেক দল এসে লুটে খায়

রূপপুরে গ্রিনসিটির ৪ তলা থেকে লাফ দিয়ে রুশ নারীর আত্মহত্যা

কুষ্টিয়ায় সেনাবাহিনীর অভিযানে বিএনপি নেতার বাড়ি থেকে অস্ত্র-বোমা উদ্ধার

মধুখালীতে সাংবাদিকের বাবা-মাসহ ৩ জনকে কুপিয়ে জখম

আজও পঞ্চগড়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ
কেরু কোম্পানির ডিস্টিলারি গোডাউন সিলগালা

চুয়াডাঙ্গার দর্শনায় কেরু অ্যান্ড কোম্পানির ডিস্টিলারি বিভাগের ১৩ হাজার লিটার ডিনেচার স্পিরিট গায়েবের ঘটনায় গোডাউন সিলগালা করেছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর। মদ তৈরির এ কাঁচামালের আনুমানিক মূল্য প্রায় ৩০ লাখ টাকা।
বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) দুপুরে চুয়াডাঙ্গা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক শারমিন আক্তার গোডাউন সিলগালা করেন। এছাড়া ঘটনা তদন্তে ৩ সদস্যর একটি কমিটি করেছে খুলনা বিভাগীয় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর।
তদন্ত কমিটির প্রধান হলেন যশোর মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আসলাম হোসেন। সদস্যরা হলেন, ঝিনাইদহ মাদকদ্রব্য অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক গোলক মজুমদার ও মেহেরপুর মাদকদ্রব্য অধিদপ্তরের পরিদর্শক আবুল হাশেম। গোডাউন সিলগালার সময় উপস্থিত ছিলেন দর্শনা কেরু অ্যান্ড কোম্পানির মহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন) মোহাম্মদ ইউসুফ আলী, মাদকদ্রব্য অধিদপ্তরের ইন্সপেক্টর মনোয়ার হোসেন।
যশোর মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আসলাম হোসেন বলেন, অধিদপ্তর থেকে আমাকে প্রধান করে ৩ সদস্যের কমিটি করা হয়েছে। আমরা তদন্ত কাজ শুরু করে একটা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে রিপোর্ট অধিদপ্তরে জমা দেবো। তারপর ব্যবস্থা নেবে অধিদপ্তর।
এ বিষয়ে ক্যামেরার সামনে না এসে দর্শনা কেরু অ্যান্ড কোম্পানির মহাব্যবস্থাপক মোহাম্মদ ইউসুফ আলী বলেন, ‘ডিস্টিলারি বিভাগের ব্র্যান্ডেড ওয়্যারহাউজ (ডিস্টিলারি ভাণ্ডার) থেকে মালামাল গায়েবের যে অভিযোগ উঠেছে তা আমরা তদন্ত করছি। এছাড়া মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কমিটি তাদের মতো কাজ করবে। এক সপ্তাহের মধ্যে রিপোর্ট দেওয়া হবে।
অভিযোগ রয়েছে, ডিস্টিলারি বিভাগে বন্ডেড ওয়্যারহাউজের বর্তমান ইনচার্জ মো. জাহাঙ্গীর হোসেন দায়িত্ব বুঝে নেওয়ার সময় ডিএস (ডিনেচার স্পিরিট) ৩ নম্বর ভ্যাট গোডাউনের গভীরতা পান ১০৯ ইঞ্চি। যার বাস্তবিক মজুত ৩৫ হাজার ৫শ বা ১২ দশমিক ২৩ লিটার। কিন্তু হস্তান্তর তালিকায় মজুত দেখানো হয় ৩৯ হাজার ৭শ লিটার। ৭ নম্বর ভ্যাট গোডাউনে সরেজমিনে গভীরতা ৫৩ ইঞ্চি। যার বাস্তবিক মজুত ৪ হাজার ৮ শত বা ৪ দশমিক ৩০ লিটার। কিন্তু হস্তান্তর তালিকায় মজুত দেখানো হয় ১৩ হাজার ৭শ লিটার। এছাড়া ১০ নম্বর ভ্যাটে ৪ ইঞ্চি গভীরতার স্পিরিট কম।
ইনচার্জ মো. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, বাস্তবিক মজুত অনুযায়ী ১৩ হাজার ১০০ লিটারের বেশি মালামাল (ডিনেচার স্পিরিট) কম থাকায় আমি দায়িত্ব গ্রহণ করেনি।
ফলে ২ মে দর্শনা কেরু অ্যান্ড কোম্পানি ব্যবস্থাপনা পরিচালক বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দেন মো. জাহাঙ্গীর হোসেন। ওই অভিযোগপত্রে বিষয়টি কমিটির মাধ্যমে তদন্ত করা যেতে পারে বলে সুপারিশ করেন কোম্পানির বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা।
দৈনিক গণঅধিকার সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।