
নিউজ ডেক্স
আরও খবর

‘বিচারকদের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ ছিল ষোড়শ সংশোধনী মামলার মূল উদ্দেশ্য’

ফারুকের মনোনয়ন বাতিল ও আমিনুলের মনোনয়ন কেন অবৈধ নয়: হাইকোর্ট

‘বলেন তো, আপনার স্বামী কয়জন’, মমতাজকে পিপি

কুরবানি ঈদে আফতাবনগরে বসবে না গরুর হাট: হাইকোর্ট

নড়াইলে হত্যা মামলায় একজনের যাবজ্জীবন

নারায়ণগঞ্জে যুবদলকর্মী হত্যা মামলায় পুলিশের সাবেক এসআই কনক কারাগারে

সমবায় ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যানের স্ত্রীর দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
যশোরে স্ত্রী হত্যায় স্বামীর মৃত্যুদণ্ড

যশোরের কেশবপুরে স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে ১ লাখ টাকা অর্থদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়। রোববার (৭ জুলাই) বিকেলে যশোর জেলা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক গোলাম কবির এ রায় প্রদান করেন।
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর পিপি সেতারা খাতুন জানান, একই মামলায় গৃহবধূর শ্বশুর ও শাশুড়িকে খালাস দেন বিচারক।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি আনিসুর রহমান ওরফে সাগর কেশবপুর উপজেলার রামচন্দ্রপুর গ্রামের মোস্তফা দপ্তরি ও নাছিমা বেগম দম্পতির ছেলে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, আনিসুর ও মেরিনার মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। ২০১৯ সালের ২৬ অক্টোবর তাদের আনুষ্ঠানিকভাবে বিয়ে হয়। বিয়ের সময় আনিসুরকে নগদ চার লাখ টাকা দেয় মেরিনার পরিবার। এর কয়েকদিনের মাথায় ফের দুই লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে আনিসুর ও তার পরিবারের সদস্যরা। টাকা না দেওয়ায় মেরিনাকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতে থাকেন। একপর্যায়ে ২০২২ সালের ৩ মে ঈদুল ফিতরের দিন বিকেলে আনিসুর নেশা করে বাড়িতে ফেরেন। এসে ওই ২ লাখ টাকার জন্য চাপ দিতে থাকেন। টাকা না দেওয়ায় মেরিনাকে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করে গুরুতর জখম করেন। পরে তাকে কেশবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে মেরিনাকে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় আটদিন পর ১১ মে দুপুরে মারা যান মেরিনা।
এ ঘটনায় নিহতের বাবা ৫ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। মামলার পর আনিসুর আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। এ মামলাটি তদন্ত করে কেশবপুর থানার এসআই লিখন কুমার সরকার চারজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট জমা দেন। একই সঙ্গে আল আমিনকে অব্যাহতির আবেদন জানান। বিচারক চার্জ গঠনের সময় এ মামলার দুই আসামি সাহেব আলী ও আল আমিনকে অব্যাহতি প্রদান করেন। মামলার দীর্ঘ শুনানি শেষে রোববার বিচারক আসামিদের উপস্থিতিতে আনিসুরকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেন। তার বাবা-মাকে খালাস দেন।
দৈনিক গণঅধিকার সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।