
নিউজ ডেক্স
আরও খবর

রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা ছাড়াই বাজেট দিয়েছে সরকার: বিএনপি

নির্বাচন ইস্যুতে সরকার ও বিএনপির দূরত্ব কি তিক্ততার দিকে যাচ্ছে?

ভিপি নুরকে নিয়ে ডিএনসিসির অভিযোগ সত্য নয়: গণঅধিকার পরিষদ

‘বিতর্কিত উপদেষ্টাদের’ পদত্যাগে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি ইশরাকের

নির্বাচন বিলম্বিত হলে অস্থিরতা বাড়বে: আমির খসরু

‘দিল্লীর গোলামির জিঞ্জির ছিন্ন করেছি পিন্ডির দাসত্ব করতে নয়’

আ.লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে নতুন জোটের আত্মপ্রকাশ, রয়েছে যেসব সংগঠন
আওয়ামী লীগ সব দিয়েছে, বিএনপি কী বলে ভোট চাইবে: খাদ্যমন্ত্রী

খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, আওয়ামী লীগ সব দিয়েছে। বিএনপি কি বলে ভোট চাইবে। বিএনপির আমলে তারা দেশের উন্নয়ন না করে নিজেদের উন্নয়ন করেছে। উন্নয়নের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টিকারী বিএনপির ভোট চাওয়ার মুখ নেই।
শুক্রবার বিকেলে নওগাঁর পোরশা উপজেলার তেঁতুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে শোকসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য এসব বলেন মন্ত্রী।
খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, বিএনপি আন্দোলনের নামে যে আগুন সন্ত্রাস ও নৈরাজ্য সৃষ্টি করেছে, তাদের বিরুদ্ধে আর প্রতিরোধ নয়, প্রতিশোধ নিতে হবে। মন্ত্রী বলেন, 'মির্জা ফখরুল বলেছিলেন, ডিসেম্বরের পর দেশ শেখ হাসিনার কথাই চলবে না, দেশ চলবে খালেদা জিয়ার কথাই। অথচ ডিসেম্বর গেল জানুয়ারি গেল আগস্ট শেষ হচ্ছে এখনও শেখ হাসিনার কথাই দেশ চলছে। আর খালেদা জিয়া আসামি সে জেল খানার ভিতরেই থাকলো।'
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, 'শেখ হাসিনা নেতৃত্বেই বাংলাদেশ ডিজিটাল বাংলাদেশ হয়েছে। আর ডিজিটাল বাংলাদেশ হয়েছে বলেই তারেক জিয়া বিদেশ থেকে ফটর ফটর করে। সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, বিএনপির আমলে সারের জন্য কৃষককে গুলি খেয়ে প্রাণ দিতে হয়েছিল। সার পাওয়া যায়নি, সেচের জন্য তেল কিংবা বিদ্যুৎ পাওয়া যায়নি। এখনকার পরিস্থিতি আর সে রকম নেই। কৃষকবান্ধব সরকারের সময়োপযোগী পদক্ষেপের কারণে সার ও বিদ্যুতের অভাব নেই। কৃষকের জন্য সরকার প্রণোদনা দিয়ে যাচ্ছে। আমরা এখন স্মার্ট বাংলাদেশ তৈরির স্বপ্ন দেখছি।
খাদ্যমন্ত্রী আরও বলেন, '২০০১ সালে নির্বাচনে জয়লাভ করে বিএনপি আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে হামলা মামলা দিলেও আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে বিএনপির মতো হামলা মামলা করে হয়রানি করেনি। বিএনপির নেতা কর্মীরা এখনো মায়ের কোলে আছে। উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রাখতে হলে শেখ হাসিনাকে আবারও ক্ষমতায় রাখতে হবে উল্লেখ করে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনা থাকলে সবখানে উন্নয়ন হয়। শেখ হাসিনার উপকারভোগী সবদলের সব ধর্মের মানুষ। বিরোধিতা যারা করেন তারা আরও বেশি সুবিধা পেয়েছেন এ সরকারের আমলে। বিধবা ভাতা, বয়স্ক ভাতা, প্রতিবন্ধীদের ভাতাসহ বিভিন্ন সুবিধা দিচ্ছে সরকার।
নির্বাচন প্রসঙ্গে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এ দেশে তত্ত¡াবধায়ক সরকার আর কখনো আসবে না। তত্ত¡াবধায়ক সরকারের মৃত্যু হয়েছে, চল্লিশাও হয়েছে। সংবিধান অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় নির্বাচন হবে। নৌকা উন্নয়নের মার্কা। নৌকার সরকার ক্ষমতায় ছিল বলে দেশের উন্নয়ন হয়েছে।ঘরে ঘরে উন্নয়ন এখন দৃশ্যমান। এই উন্নয়ন এর কথা ভুলে গেলে চলবেনা। আগামী নির্বাচনে নৌকাকে আবারও বিজয়ী করার আহবান জানান মন্ত্রী। তেঁতুলিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল্লাহ শাহ্।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ারুল ইসলাম, সিনিয়র সহসভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ শাহ মঞ্জুর মোর্শেদ চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক মোফাজ্জল হোসেন। এসময় উপজেলা আওয়ামী লীগ যুগ্ম সাধারন সম্পাদক ফজলুল হক শাহ্ চৌধুরী, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সম্পাদক ফারুক মিয়া সহ স্থানীয় নেতাকর্মীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। সভা শেষে ১৯৭৫ সালে ১৫ আগষ্ট নিহতদের স্মরণে দোয়া করা হয়।
দৈনিক গণঅধিকার সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।