
নিউজ ডেক্স
আরও খবর
ঈদের দিন সকালে কোথাও কোথাও বৃষ্টির শঙ্কা

রাত পোহালেই ঈদুল আজহা। সবাই ব্যস্ত কেনাকাটায়। কেউ বা কোরবানির পশু কেনায়, আবার কেউ বা পশুর খাবার কেনায়। কেউ বা ব্যস্ত ঈদের রান্নার প্রস্তুতি নিয়ে। এমন পরিস্থিতিতে আবহাওয়া অধিদফতর জানিয়েছে, ঈদের দিন ভোরে না হলেও সকালের দিকে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি হতে পারে। তবে তা বেশিক্ষণের জন্য বা দিনভর হওয়ার শঙ্কা নেই।
আবহাওয়া অধিদফতর জানিয়েছে, লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ থেকে উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত। মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে অন্য এলাকায় মাঝারি অবস্থায় রয়েছে।
আবহাওয়াবিদ ওমর ফারুক বলেন, ঈদের দিন ভোরে ঢাকায় বৃষ্টি না হলেও সকাল ৯টা নাগাদ হতে পারে। তবে তা বেশিক্ষণ স্থায়ী নাও হতে পারে। বৃষ্টি হলে তা হালকা থেকে মাঝারি ধরনের হতে পারে।
এদিকে ঈদের দিন সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়, রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায়, চট্টগ্রাম বিভাগের অনেক জায়গায়, ঢাকা ও রাজশাহী বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং খুলনা ও বরিশাল বিভাগের দুই এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে। তবে যেসব এলাকায় তাপপ্রবাহ আছে, তা অব্যাহত থাকতে পারে। সারা দেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। অন্যদিকে জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তিভাব বিরাজমান থাকতে পারে।
এদিকে ঈদের পরের দিন অর্থাৎ মঙ্গলবারের পূর্বাভাসে বলা হয়, রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায়, চট্টগ্রাম ও বরিশাল বিভাগের অনেক জায়গায়, ঢাকা ও রাজশাহী বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং খুলনা বিভাগের দুই এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে। এদিনও চলমান তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে।
গত ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ বৃষ্টি হয়েছে কুড়িগ্রামের বাজারহাটে ১৩০ মিলিমিটার। এছাড়া সিলেট ও পঞ্চগড়ে ৬৫, রংপুরে ৬৩, নীলফামারীতে ৪৯, রাঙামাটিতে ৪৪, সুনামগঞ্জ ও ঠাকুরগাঁওয়ে ৩৬, নেত্রকোনায় ৩২, গাইবান্ধায় ৩১, খাগড়াছড়িতে ২৭, হবিগঞ্জে ১৮, শ্রীমঙ্গলে ১৫, দিনাজপুরে ১১, শেরপুরে ৬, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৪, বান্দরবান ও লালমনিরহাটে ৫, ময়মনসিংহের নিকলিতে ২, কুমিল্লা ও ময়মনসিংহে ১ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে।
দৈনিক গণঅধিকার সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।