
নিউজ ডেক্স
আরও খবর

সাবেক সদস্য প্রীতি সমাবেশ করেছে ছাত্রশিবির ঢাকা মহানগর দক্ষিণ

৩০০ আসনে প্রার্থী দেবে গণঅধিকার পরিষদ

দেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে যুদ্ধ-পরিস্থিতির মতো সতর্ক থাকতে বললেন ড. ইউনূস

কারাগারে থাকা সাবেক মন্ত্রীর স্ট্যাটাস ‘ভাইরাল’যা বলল কারা অধিদপ্তর

যে কারণে ভারতকে আর ছাড় দেবে না বিজিবি

আওয়ামী লীগকে আন্দোলনের অনুমতি দেওয়া হবে যে শর্তে!

সীমান্ত হত্যা বন্ধে যে কঠোর পদক্ষেপ নিচ্ছে বাংলাদেশ!
কুষ্টিয়ায় কর্মী সম্মেলনে জামায়াত আমির
এই দেশে আর কোনো মাইনরিটি-মেজরিটির কথা শুনতে চাই না

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, আমরা একটা সাম্যের বাংলাদেশ গড়তে চাই। আমরা এই দেশে আর কোনো মাইনোরিটি মেজরিটির কথা শুনতে চাই না।
শনিবার (৪ জানুয়ারি) কুষ্টিয়া সরকারি কলেজ মাঠে কুষ্টিয়া জেলা জামায়াতে ইসলামী আয়োজিত কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
এ সময় জামায়াত আমির প্রশ্ন করেন, কীসের মেজরিটি আর মাাইনোরিটি? যারাই বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করবে তারা সকলেই ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে এদেশের গর্বিত নাগরিক। রাষ্ট্রের সংবিধান সকলকে সমান অধিকার দিয়েছে। আল্লার সংবিধানও তাদেরকে সমান অধিকার দিয়েছে।
তিনি বলেন, ৫ আগস্টের আগে দেশে চাঁদাবাজি দখলদারি ছিল। ফুটপাত থেকে সবকিছু দখল হয়ে গিয়েছিল।
এখন আর দখলদারি নেই। আমাদের সন্তানরা এই জন্য জীবন দেইনি যে, বাংলাদেশে এখনো চাঁদাবাজি চলবে। আমরা চাদাবাজি ও দখলদারি মুক্ত বাংলাদেশ গড়তে চাই এবং আমরাই এটা পারব, কারণ আমরা সেই দল যাদের একজন নেতাকর্মীর বিরুদ্ধেও চাঁদাবাজি দখলদারীর অভিযোগ নেই।
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, আমরা সেই দল যাদের ১১ জন শীর্ষ নেতাকে খুন করা হয়েছে। কাউকে বিচারের নামে প্রহসন করে দেওয়া হয়েছে ফাঁসি। আবার কাউকে জেলের ভেতরে মৃত্যুর কোলে ঠেলে দেওয়া হয়েছে। সর্বশেষ আমাদের থেকে বিদায় নিয়েছেন কুরআনের পাখি দেলওয়ার হোসাইন সাঈদী।
তিনি বলেন, শহীদ মাওলানা মতিউর রহমান নিজামীর সহকর্মীদেরকে হত্যা করা হয়েছে মিথ্যা মামলায় পাতানো এবং সাজানো সাক্ষী দিয়ে। এখন মামলার বাদীরা এবং সাক্ষীরা বলছেন, যারা আমাদেরকে সেদিন জোর করে এই মামলা দায়ের করিয়েছিল এখন তাদের বিরুদ্ধে আমরা মামলা করব। এটাই আল্লাহর খেলা।
জামায়াত আমির বলেন, আধুনিক রাষ্ট্রের প্রথম সংবিধান হচ্ছে মদিনার সনদ। এই মদিনার সনদে ১ থেকে ৫ পর্যন্ত হচ্ছে সকল ধর্মের মানুষের অধিকার সংরক্ষেণের সনদ। সেখানে পরিষ্কার বলা হয়েছে, ধর্মের ভিত্তিতে রাষ্ট্রের কোনো নাগরিককের অধিকার বিভক্ত করা যাবে না। বাংলাদেশ আমাদের সকলের প্রিয় জন্মভূমি। এই দেশের সকল ধর্মের ও বর্ণের মানুষ আমাদের জনসংখ্যা। আমরা আমাদের দেশের এই জনসংখ্যাকে জনশক্তিতে পরিণত করতে চাই।
কুষ্টিয়া জেলা জামায়াতের আমির অধ্যাপক মাওলানা আবুল হাশেমের সভাপতিত্বে সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান, কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য মোবারক হোসাইনসহ অন্যান্য কেন্দ্রীয়, আঞ্চলিক ও জেলার নেতৃবৃন্দ।
দৈনিক গণঅধিকার সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।