কোরবানিদাতার সংখ্যা বেড়েছে চট্টগ্রামে, ৩৩ হাজার পশুর ঘাটতি

চট্টগ্রামে এবার কোরবানিতে চাহিদার তুলনায় ৩৩ হাজার ৪০৬টি পশুর ঘাটতি রয়েছে। কোরবানিতে এবার চাহিদা আছে আট লাখ ৮৫ হাজার ৭৬৫টির। তবে কোরবানিযোগ্য পশু আছে আট লাখ ৫২ হাজার ৩৫৯টি। ঘাটতি থাকা পশু আশপাশের জেলা তথা উত্তরাঞ্চল থেকে খামারি অথবা মৌসুমি ব্যবসায়ীরা আনলে তাতে সংকট দূর হবে। এমনটাই বলেছেন চট্টগ্রাম জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. নজরুল ইসলাম।
জেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ের তথ্যমতে, গত বছরের তুলনায় এবার কোরবানিদাতা বেড়েছে ছয় হাজার ৫২ জন। গত বছর আট লাখ ৭৯ হাজার ৭১৩টি গবাদিপশু কোরবানি দেওয়া হয়। এবার কোরবানিতে পশুর চাহিদা আছে আট লাখ ৮৫ হাজার ৭৬৫টি। এর মধ্যে মজুত আছে আট লাখ ৫২ হাজার ৩৫৯টি। পশুগুলোর মধ্যে গরুর মজুত আছে পাঁচ লাখ ২৬ হাজার ৪৭৫টি, মহিষ ৭১ হাজার ৩৬৫টি, ছাগল এক লাখ ৯৫ হাজার ৭৮৩টি, ভেড়া ৫৮ হাজার ৬৯২টি এবং অন্যান্য পশু আছে ৪৪টি।
জেলার ১৫ উপজেলা এবং নগরীর মধ্যে পশুর চাহিদা আছে। এর মধ্যে সাতকানিয়ায় চাহিদা ৪৩ হাজার ২৮৮টির মধ্যে আছে ৪৫ হাজার ২৮০টি, চন্দনাইশে ৪৮ হাজার ৭৯৯টির মধ্যে আছে ৪৪ হাজার ৬০টি, আনোয়ারায় ৫২ হাজার ৩৩৮টির মধ্যে আছে ৬৬ হাজার ৩৬৩টি, বোয়ালখালীতে ৩৮ হাজার ৮১৫টির মধ্যে আছে ৪৭ হাজার ৯৭৯টি, পটিয়ায় ৬৬ হাজার ৮৩৬টির মধে আছে ৭১ হাজার ১১২টি, কর্ণফুলীতে ২৮ হাজার ১৫৫টির মধ্যে আছে ২৯ হাজার ৩৫৫টি, মীরসরাইয়ে ৬০ হাজার ৮৪৯টির মধ্যে আছে ৫৭ হাজার ৮৮৩টি, সীতাকুণ্ডে ৫৩ হাজার ১৫০টির মধ্যে আছে ৫৩ হাজার ৮০৪টি, হাটহাজারীতে ৫১ হাজার ২৫৬টির মধ্যে আছে ৪৪ হাজার ৯৮১টি, রাঙ্গুনিয়ায় ৫২ হাজার ৫৬০টির মধ্যে আছে ৫০ হাজার ১১টি, ফটিকছড়িতে ৫৫ হাজার ৩৩৮টির মধ্যে আছে ৭৪ হাজার ৫২৯টি, লোহাগাড়ায় ৫০ হাজার ৫৩৮টির মধ্যে আছে ৪৮ হাজার ৮৯৮টি, রাউজানে ৪২ হাজার ৩৬৪টির মধ্যে আছে ৪১ হাজার ২৯টি, বাঁশখালীতে ৪৫ হাজার ৮৮৬টির মধ্যে আছে ৬১ হাজার ৮৮৩টি, সন্দ্বীপে ৭৯ হাজার ৬৩৮টির মধে আছে ৮২ হাজার ৮০৭টি, নগরীর ডবলমুরিংয়ে ৬০ হাজার ৩৮৯টির মধে আছে ৯ হাজার ২৩টি, কোতোয়ালিতে ১৩ হাজার ৬৯৮টির মধ্যে আছে চার হাজার ২৫৪টি এবং পাঁচলাইশে ৪১ হাজার ৮৫৯টির মধ্যে আছে ১৯ হাজার ১১২টি। জেলায় পশুর খামার আছে ১৪ হাজার ২৫৮টি।
চট্টগ্রাম জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. নজরুল ইসলাম বলেন, ‘চাহিদার তুলনায় ৩৩ হাজার ৪০৬টি পশুর ঘাটতি থাকলেও কোরবানিতে সংকট হবে না। আশপাশের জেলা রাঙামাটি ও খাগড়াছড়িতে চাহিদার বেশি আছে। এসব জেলা থেকে পশু আসবে। এছাড়া উত্তরাঞ্চল থেকেও খামারি ও ব্যবসায়ীরা বিক্রির জন্য নিয়ে আসবেন। ফলে জেলায় ঘাটতি থাকলেও পশুর সংকট হবে না।’
জেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালে ঈদুল আজহায় আট লাখ ৭৯ হাজার ৭১৩টি গবাদিপশু কোরবানি দেওয়া হয়। ওই বছর স্থানীয়ভাবে মজুত ছিল আট লাখ ৪২ হাজার ১৬৫টি। ২০২২ সালে কোরবানি দেওয়া হয়েছিল আট লাখ ১৩ হাজার ৫০টি। ওই বছর স্থানীয়ভাবে উৎপাদন হয়েছিল আট লাখ ১৯ হাজার ৪৪২টি। ২০২১ সালে কোরবানি দেওয়া হয়েছিল সাত লাখ ৪২ হাজার ৪৫৫টি। স্থানীয়ভাবে উৎপাদন হয়েছিল সাত লাখ ৫৬ হাজার ৩৩৪টি। ২০২০ সালে কোরবানি দেওয়া হয়েছিল সাত লাখ ৩৫ হাজার ৫৫৬টি। স্থানীয়ভাবে উৎপাদন হয়েছিল ছয় লাখ ৮৯ হাজার ২২টি। ২০১৯ সালে কোরবানি দেওয়া হয়েছিল সাত লাখ ৩০ হাজার ৭৮৯টি। স্থানীয়ভাবে উৎপাদন হয়েছিল ছয় লাখ ১০ হাজার ২১৯টি।
দৈনিক গণঅধিকার সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।