
নিউজ ডেক্স
আরও খবর

চাঞ্চল্যকর সেই শিশু ধর্ষণের ঘটনায় মামলা, বোনের স্বামী-শ্বশুরসহ গ্রেফতার ৪

সন্ত্রাসবিরোধী মামলায় হিজবুত তাহরীরের ৩৬ সদস্য গ্রেফতার

‘মেইড ইন পাকিস্তান’ লেখা অস্ত্রসহ যুবক গ্রেপ্তার

দিনে লরি, রাতে জাহাজ থেকে তেল চুরি

ডাক্তারের কাছে নেওয়ার কথা বলে নারীকে ধর্ষণ, আটক ২

ভুয়া নথির ঋণ ছাড়ে এসকে সুরের প্রভাব

ঢাকায় ছিনতাইয়ের ৪৩২ হটস্পট
চট্টগ্রামে প্রবাসীর স্বর্ণ ছিনতাই; পুলিশের এসআইসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা

চট্টগ্রামে প্রবাসীর কাছ থেকে ১৬ ভরি স্বর্ণ ছিনতাইয়ের ঘটনায় নগরীর খুলশী থানায় মামলা হয়েছে। মামলায় খুলশী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আমিনুল ইসলাম এবং সোর্স শহিদুল ইসলাম জাহিদ (৩৫) এবং পলাতক অজ্ঞাত অপর এক ব্যক্তিকের আসামি করা হয়েছে।
রবিবার (১৯ মে) রাতে চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার সদর ইউনিয়নের দরবার শেখ হাজীপাড়া এলাকার বাসিন্দা আবদুল খালেক বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন।’
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের এডিসি-পিআর কাজী মো. তারেক আমিন বলেন, ‘প্রবাসীর স্বর্ণ ছিনতাইয়ের ঘটনায় খুলশী থানার এসআই আমিনুল ইসলাম এবং শহিদুল ইসলাম জাহিদ নামে আরও একজনসহ গ্রেফতার আছেন। এ ঘটনায় আরও একজন পলাতক আছেন। গ্রেফতার দু’জনকে এ মামলায় আসামি করা হয়েছে। তাদের এ মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে কাল সোমবার আদালতে সোপর্দ করা হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘অভিযুক্ত এসআই আমিনুল ইসলাম আজ নির্দিষ্ট সময়ে ডিউটিতে উপস্থিত ছিলেন না। এ কারণে তার বিরুদ্ধে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে।’
গ্রেফতার খুলশী থানার এসআই আমিনুল ইসলাম ২০১২ সালে পুলিশ বাহিনীতে যোগদান করেন। তার গ্রামের বাড়ি চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলায়। আটক সোর্স শহীদুল ইসলাম জাহিদ নগরীর বাকলিয়া থানার রাহাত্তারপুল এলাকার কেবি আমান আলী সড়কের বাসিন্দা।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, ‘গত ১২ মে আবদুল খালেক সৌদি আরব থেকে দেশে বেড়াতে আসেন। তার প্রবাসে রেখে আসা ৮টি হাতের চুড়ি প্রতিটির ওজন দুই ভরি করে ১৬ ভরি। আজ পরিচিত যাত্রীর মাধ্যমে দেশে পাঠানো হয়। তিনি বিমানবন্দরে গিয়ে এসব স্বর্ণ রিসিভ করে ৬ নম্বর রুটের বাসে করে বাড়ি ফিরছিলেন। বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে নগরীর টাইগারপাস এলাকায় পৌঁছালে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে খুলশী থানার এসআই আমিনুল তাকে বাস থেকে নামিয়ে নেয়। পরে একটি সিএনজি অটোরিকশায় তুলেন আমিনুল। এ সময় তার সঙ্গে আরও দুজন লোক ছিল। পরে তাকে আক্তারুজ্জামান ফ্লাইওভারে নিয়ে গিয়ে তার কাছে থাকা স্বর্ণালংকার অবৈধ বলে কাগজপত্র দেখতে চান। এক পর্যায়ে তার কাছে থাকা ৮টি স্বর্ণের চুড়ি কেড়ে নেয়।
পরে আব্দুল খালেককে তিনটি ফেরত দিলেও অন্য পাঁচটি চুড়ি ছিনিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে বলেও জানা যায়। এক পর্যায়ে খালেক তাকে জাপটে ধরে। পরে স্থানীয় লোকজন এবং টহল পুলিশের সহায়তায় আমিনুল এবং সোর্স জাহেদকে আটক করা হয়।
দৈনিক গণঅধিকার সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।