
নিউজ ডেক্স
আরও খবর

মামলা থেকে অনৈতিক সুবিধা নেওয়ার সুযোগ নেই: সিএমপি কমিশনার

রায়পুর থানা থেকে লুট হওয়া গুলিসহ ২ অস্ত্র উদ্ধার

দায়িত্বে ফিরতে সবার সহযোগিতা পাচ্ছে পুলিশ, গুজবে বিভ্রান্ত না হওয়ার অনুরোধ

সীমান্ত দিয়ে ভারতে পালানোর সময় ২ আ.লীগ নেতা আটক

মেহেরপুরে ফেনসিডিলসহ আটক ৩

গ্যাস বাবুর ব্যবহৃত ৩টি মোবাইল উদ্ধারে ঝিনাইদহ যাচ্ছে ডিবি

ঐতিহাসিক ভূমিকাকে পুলিশের দুর্নীতির লাইসেন্স হিসেবে ব্যবহারের সুযোগ নেই: টিআইবি
এমপি আনার হত্যাকান্ড
ঝিনাইদহের আ.লীগ নেতা বাবুর ফের ৫ দিনের রিমান্ড চায় ডিবি

ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনারকে খুনের উদ্দেশ্যে অপহরণের মামলায় গ্রেফতার আওয়ামী লীগ নেতা কাজী কামাল আহমেদ বাবুকে ফের পাঁচ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেছে ডিবি পুলিশ।
সোমবার (২৪ জুন) ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এই রিমান্ডের বিষয়ে শুনানি হবে। আদালত সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
এর আগে গত ৯ জুন আদালত আসামি বাবুর সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। পরে রিমান্ড চলাকালীন আসামি বাবু স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে রাজি হন। এরপর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সহকারী কমিশনার মাহফুজুর রহমান তার জবানবন্দি রেকর্ড করার আবেদন করেন। তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৪ জুন ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জসিমের আদালত বাবুর জবানবন্দি রেকর্ড করেন। জবানবন্দি শেষে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
গত ৯ জুন ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক কাজী কামাল আহমেদ বাবুর সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
গত ১২ মে সন্ধ্যায় আনোয়ারুল আজীমের মেয়ে মুমতারিন ফেরদৌস শেরেবাংলা নগর থানায় এই মামলা করেন।
মামলার এজাহারে মুমতারিন উল্লেখ করেন, ‘মানিক মিয়া এভিনিউর বাসায় আমরা সপরিবার বসবাস করি। ৯ মে রাত ৮টার দিকে আমার বাবা আনোয়ারুল আজীম আনার গ্রামের বাড়ি ঝিনাইদহ যাওয়ার উদ্দেশে যাত্রা করেন। ১১ মে বিকাল পৌনে ৫টার দিকে বাবার সঙ্গে ভিডিও কলে কথা বললে বাবার কথাবার্তা কিছুটা অসংলগ্ন মনে হয়। এরপর বাবার মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল দিলেও বন্ধ পাই।’
‘গত ১৩ মে বাবার ভারতীয় নম্বর থেকে উজির মামার হোয়াটসঅ্যাপে একটি এসএমএস আসে। এতে লেখা ছিল, “আমি হঠাৎ করে দিল্লি যাচ্ছি, আমার সঙ্গে ভিআইপি রয়েছে। আমি অমিত সাহার কাজে নিউটাউন যাচ্ছি। আমাকে ফোন দেওয়ার দরকার নাই। আমি পরে ফোন দেবো।” এ ছাড়া আরও কয়েকটি বার্তা আসে। সেগুলো আমার বাবার মোবাইল ফোন ব্যবহার করে অপহরণকারীরা করে থাকতে পারে।’
এজাহারে আরও উল্লেখ করা হয়, ‘বিভিন্ন জায়গায় বাবার খোঁজ করতে থাকি। কোনও সন্ধান না পেয়ে তার বন্ধু গোপাল বিশ্বাস বাদী হয়ে ভারতীয় বারানগর পুলিশ স্টেশনে সাধারণ ডায়েরি করেন। এরপরও আমরা খোঁজাখুঁজি অব্যাহত রাখি। পরে বিভিন্ন গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জানতে পারি, অজ্ঞাত ব্যক্তিরা পূর্বপরিকল্পিতভাবে পরস্পর যোগসাজশে বাবাকে অপহরণ করেছে।’
এই মামলায় শিমুল ভুঁইয়া ওরফে শিহাব ওরফে ফজল মোহাম্মদ ভুঁইয়া ওরফে আমানুল্যাহ সাঈদ, তানভীর ভুঁইয়া ও সিলাস্তা রহমানকে গ্রেফতার করা হয়। রিমান্ড শেষে তারা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। বর্তমানে তারা কারাগারে রয়েছেন।
এ ছাড়া গ্রেফতারের পর ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুল করিম মিন্টু রিমান্ড শেষে কারাগারে রয়েছেন।
দৈনিক গণঅধিকার সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।