
নিউজ ডেক্স
আরও খবর

ঈশ্বরদীতে টানা ৪০ দিন মসজিদে নামাজ পড়ে বাইসাইকেল উপহার পেলেন শিক্ষার্থীরা

মাহফিলে পদদলিত হয়ে আহত ৩০

একদল যায়, আরেক দল এসে লুটে খায়

রূপপুরে গ্রিনসিটির ৪ তলা থেকে লাফ দিয়ে রুশ নারীর আত্মহত্যা

কুষ্টিয়ায় সেনাবাহিনীর অভিযানে বিএনপি নেতার বাড়ি থেকে অস্ত্র-বোমা উদ্ধার

মধুখালীতে সাংবাদিকের বাবা-মাসহ ৩ জনকে কুপিয়ে জখম

আজও পঞ্চগড়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ
টেকনাফ সীমান্তে গোলার শব্দ, দুশ্চিন্তায় সেন্টমার্টিনবাসী

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে আরাকান আর্মি ও সশস্ত্র বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষ চলছে। সেখানকার মর্টারশেল ও ভারী গোলার বিকট শব্দ শুনতে পাচ্ছে কক্সবাজারে টেকনাফ সীমান্তের মানুষ। বুধবার (১৯ জুন) বিকাল থেকে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন দ্বীপ থেকে আবারও সীমান্তে গোলার শব্দ ভেসে আসছে। এতে স্থানীয় লোকজনের মধ্যে বাড়ছে আতঙ্ক।
সীমান্তের কাছাকাছি টেকনাফের পৌরসভার জালিয়াপাড়ার বাসিন্দা মোহাম্মদ ইসলাম বলেন, সন্ধ্যা থেকে রাখাইন রাজ্যে থেকে ভারী গোলার বিকট শব্দ এপারে ভেসে আসছে। এতে বিশেষ করে নারী-শিশুদের নিয়ে ভয়ে রয়েছে সীমান্তের মানুষ। এভাবে আর কতদিন মানুষ আতঙ্কে দিন পার করবে? দিন দিন ওপারের গোলার আওয়াজ বাড়ছে। আমরা শুনেছি ওপার থেকে কিছু মানুষ অনুপ্রবেশের অপেক্ষা করছে।
আবারও সীমান্তে গোলার বিকট শব্দ পাওয়া যাচ্ছে উল্লেখ করে টেকনাফ পৌরসভার দক্ষিণ জালিয়াপাড়ার কাউন্সিলর মনিরুজ্জামান বলেন, সীমান্তবাসীর মাধ্যমে ওপারে গোলার বিকট শব্দের বিষয়ে জানতে পেরেছি। এরকম শব্দ সীমান্তের কাছের এলাকায় নিত্যদিনের ঘটনা হয়ে দাঁড়াচ্ছে। এসব আওয়াজ মানুষের মাঝে আতঙ্ক বাড়াচ্ছে।
এদিকে মিয়ানমার সীমান্ত থেকে বাংলাদেশের দিকে গুলি চালানোর পর নাফ নদ হয়ে মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে দেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিনের যোগাযোগ ১২ দিন ধরে প্রায় বন্ধ আছে। মাঝখানে জাহাজে কিছু খাদ্যসামগ্রী পৌঁছায় দ্বীপে। আবারও সেন্টমার্টিনে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য সংকটের শঙ্কা তৈরি হয়েছে। দ্বীপে বসবাসকারী প্রায় ১০ হাজার মানুষ দুশ্চিন্তায় সময় কাটাচ্ছেন।
দ্বীপের বাসিন্দা নুরুল আলম বলেন, বিকাল থেকে মিয়ানমারের ওপারে গোলার বিকট শব্দ পাওয়া যাচ্ছে। তাছাড়া সে দেশের সীমান্তে যুদ্ধজাহাজও রয়েছে। ঈদের আগে কক্সবাজার থেকে জাহাজে করে যেসব নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য এনেছিল সেগুলো শেষ হওয়ার পথে। এছাড়া জিনিসপত্রের দাম দ্বিগুণ বেড়েছে। আগের মতো টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌরুটে নৌযান চলাচল শুরু হলে সব সমস্যা শেষ হতো।
সেন্টমার্টিন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান বলেন, সারা দিন বৃষ্টিতে দ্বীপের কিছু অংশ ডুবন্ত ছিল। কিন্তু বৃষ্টি থামার সঙ্গে সঙ্গে পানিও নেমে গেছে। আজও ওপার থেকে গোলার শব্দ পাওয়া গেছে। মূলত এখন দ্বীপের একমাত্র সমস্যা হচ্ছে নৌযান চলাচল। এটি চালু হলে দ্বীপের মানুষের কোনও সমস্যা আর থাকতো না। এখন নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ফের সংকটের পথে। এ কারণে দ্বীপের মানুষ দুশ্চিন্তার মধ্যে রয়েছেন।'
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আদনান চৌধুরী বলেন, এখনও মিয়ানমার সীমান্তে গুলিবর্ষণের শব্দ পাওয়া যাচ্ছে। তবে লোকজন যাতে ভয়ভীতির মধ্য না থাকে সেজন্য অনুরোধ করা হচ্ছে। তাছাড়া টেকনাফ-সেন্টমার্টিন চলাচলের জন্য বিকল্প পথ শিগগিরই চালু করার কথা ভাবা হচ্ছে।
দৈনিক গণঅধিকার সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।