
নিউজ ডেক্স
আরও খবর

ঈশ্বরদীতে টানা ৪০ দিন মসজিদে নামাজ পড়ে বাইসাইকেল উপহার পেলেন শিক্ষার্থীরা

মাহফিলে পদদলিত হয়ে আহত ৩০

একদল যায়, আরেক দল এসে লুটে খায়

রূপপুরে গ্রিনসিটির ৪ তলা থেকে লাফ দিয়ে রুশ নারীর আত্মহত্যা

কুষ্টিয়ায় সেনাবাহিনীর অভিযানে বিএনপি নেতার বাড়ি থেকে অস্ত্র-বোমা উদ্ধার

মধুখালীতে সাংবাদিকের বাবা-মাসহ ৩ জনকে কুপিয়ে জখম

আজও পঞ্চগড়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ
দেবহাটায় সড়কের ধারে অসংখ্য মরা গাছ; মানুষ ও যানবাহন চলাচলে ঝুঁকি!

সাতক্ষীরা-কালীগঞ্জ মহাসড়কের দেবহাটা উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় রাস্তার পাশে হেলে পড়া মরা গাছ থেকে প্রতিনিয়ত ডালপালা ভেঙে পড়ছে। এতে আহত হচ্ছেন পথচারীরা। এমনকি ডালপালা ভেঙে পড়ে যানবাহনের ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে। গাছগুলো কেটে ফেলার দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বিভিন্ন সড়কের পাশে সড়ক ও জনপথ বিভাগের গাছগুলো মরে পড়ে আছে বহুদিন ধরে। সরকারি নিয়মতান্ত্রিক জটিলতায় এসব গাছ অপসরণ সম্ভব হচ্ছে না। সে কারণে এসব গাছ ভেঙে পড়লেও কেটে ফেলার অনুমতি মিলছে না। এতে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে মানুষ। হেলে পড়া একটি গাছের নিচ দিয়ে বৈদ্যুতিক লাইন থাকায় দুর্ঘটনার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
দেবহাটার সখিপুর মোড় থেকে উপজেলা মোড় পর্যন্ত অসংখ্য গাছ শুকিয়ে গেছে। হালকা ঝড়-বৃষ্টি হলেই গাছের ছোট-বড় ডালপালা ভেঙে পড়ছে। কোনো সময় মরা গাছ পড়ে রাস্তা বন্ধ হয়ে গিয়ে বাড়ছে দুর্ভোগ।
দেবহাটা উপজেলার বাসিন্দা রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘গাছগুলোর নিচ দিয়ে যাওয়ার সময় খুবই ভয় করে। আশঙ্কায় থাকি কখন জানি ভেঙে মাথায় না পড়ে। কিছুদিন আগে পারুলিয়া গরুহাটে মরাগাছের ডাল পড়ে একজনের মৃত্যু হয়েছে।’
তিনি বলেন, বিষয়টি স্থানীয় প্রশাসনকে বললেও তারা কোনো উদ্যোগ নিতে পাচ্ছেন না। সড়ক ও জনপথ বিভাগ এবং জেলা পরিষদের গাছ হওয়ায় সরকারি নিয়মে আটকে আছে মরা গাছ অপসরণ। আমরা চাই বর্ষার আগেই গাছগুলো কেটে ফেলা হোক।
সাতক্ষীরা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির দেবহাটা সাব-জোনালের এজিএম জহুরুল ইসলাম জানান, সড়কের পাশে মরা গাছ থাকায় বিভিন্ন সময় তা বিদ্যুতের তারের ওপরে পড়ছে। এতে তার ছিঁড়ে যাচ্ছে। কোথাও বিদ্যুতের খুঁটি পড়ে ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। গাছগুলো অপসারণ জরুরি।
এ বিষয়ে দেবহাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আসাদুজ্জামান বলেন, অনুমতি না পাওয়ায় গাছগুলো অপসরণ করা যাচ্ছে না। তবে জনগণের নিরাপত্তার স্বার্থে অতিঝুঁকিপূর্ণ গাছের ডাল কেটে সংশ্লিষ্ট ভূমি অফিস বা ইউনিয়ন পরিষদে সংরক্ষণ করার জন্য চেয়ারম্যানদের মৌখিক অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
দৈনিক গণঅধিকার সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।