
নিউজ ডেক্স
আরও খবর

রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা ছাড়াই বাজেট দিয়েছে সরকার: বিএনপি

নির্বাচন ইস্যুতে সরকার ও বিএনপির দূরত্ব কি তিক্ততার দিকে যাচ্ছে?

ভিপি নুরকে নিয়ে ডিএনসিসির অভিযোগ সত্য নয়: গণঅধিকার পরিষদ

‘বিতর্কিত উপদেষ্টাদের’ পদত্যাগে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি ইশরাকের

নির্বাচন বিলম্বিত হলে অস্থিরতা বাড়বে: আমির খসরু

‘দিল্লীর গোলামির জিঞ্জির ছিন্ন করেছি পিন্ডির দাসত্ব করতে নয়’

আ.লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে নতুন জোটের আত্মপ্রকাশ, রয়েছে যেসব সংগঠন
মুক্তির দাবিতে বিএনপির সমাবেশ শনিবার
বেগম জিয়ার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল বলে জানিয়েছে বিএনপির মিডিয়া সেল। শুক্রবার (২৮ জুন) সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান এ কথা জানান। তিনি বলেন, একটু আগে অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেনের সঙ্গে কথা হয়েছে। খালেদা জিয়া মেডিক্যাল বোর্ডের সার্বক্ষণিক নিবিড় পর্যবেক্ষণে আছেন। বর্তমানে তিনি স্থিতিশীল আছেন।
এর আগে গত শুক্রবার (২১ জুন) দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে শারীরিক অবস্থার অবনতির হলে খালেদা জিয়াকে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর রবিবার (২৩ জুন) অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে গঠিত মেডিক্যাল বোর্ডের সিদ্ধান্তে তার হৃদপিণ্ডে ‘পেসমেকার’ বসানো হয়।
খালেদা জিয়ার হৃদরোগের সমস্যা আগে থেকেই ছিল। হার্টে তিনটি ব্লক থাকায় আগে একটা রিং পরানো হয়েছিল। পরে বিদেশি চিকিৎসক ও মেডিক্যাল বোর্ডের পরামর্শে পেসমেকার বসানো হয়। এরপর থেকে স্থিতিশীল রয়েছে তার শারীরিক অবস্থা।
প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের ২৫ মার্চ সরকারের নির্বাহী আদেশে মুক্তি পাওয়ার থেকে এই হাসপাতালেই চিকিৎসা নিচ্ছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। গত চার বছরে দফায় দফায় হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন তিনি।
বরাবরই যখন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে, তখনই সক্রিয় হয়ে ওঠে বিএনপি। প্রথম কয়েক দিন প্রার্থনা সভা, দোয়া মাহফিল এসব করার পর রাজনৈতিক কর্মসূচি দিয়ে আসছে দলটি। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি।
সবশেষ গত ২ মে এভারকেয়ার থেকে চিকিৎসা শেষে বাসায় ফেরেন খালেদা জিয়া। স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাতে ১ মে হাসপাতালে যান তিনি। এর আগে ৩১ মার্চ তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল। পরে ২ এপ্রিল হাসপাতাল থেকে বাসায় ফেরেন তিনি।
২১ জুন মধ্যরাতে জরুরি হাসপাতালে ভর্তি করাতে হয় খালেদা জিয়াকে। এরপর থেকেই বিএনপির নেতৃত্ব কর্মসূচির চিন্তাভাবনা শুরু করেন। ২৪ জুন রাতে অনুষ্ঠিত স্থায়ী কমিটির বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বিএনপি চেয়ারপারসনের বিদেশে চিকিৎসা নিশ্চিত করাতে কেবল চিকিৎসার বিষয়টিই নয়, তার মুক্তির বিষয়টিকেই প্রাধান্য দিয়ে কর্মসূচি দেওয়ার।
পরে বুধবার (২৬ জুন) মির্জা ফখরুল দুই পাশে স্থায়ী কমিটির দুই সদস্যকে নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করে জানান, খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে আগামী ২৯ জুন বিকাল ৩টায় রাজধানীর নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ, ১ জুলাই সারা দেশের মহানগর এবং ৩ জুলাই জেলা সদরে সমাবেশ হবে।
শুক্রবার (২৮ জুন) বিকালে দলের কেন্দ্রীয় দফতর বিভাগ থেকে জানানো হয়, বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে শনিবার বিকালে নয়া পল্টনে অনুষ্ঠেয় সমাবেশে বিএনপি মহাসচিব, স্থায়ী কমিটির সদস্যরাসহ অন্যান্য নেতা বক্তব্য দেবেন। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ এই সমাবেশের অনুমতি দিয়েছে।
দলীয় সূত্র জানায়, খালেদা জিয়া বিদেশে চিকিৎসা ও মুক্তির দাবিতে ২০২১ সালের ২৩ নভেম্বর ৮ দিনের কর্মসূচি দিয়েছিল বিএনপি। এরপর ২০২৩ সালের ১৪ অক্টোবর ঢাকাসহ দেশের মহানগর ও জেলা শহরে সর্বশেষ অনশন কর্মসূচি পালন করে নেতাকর্মীরা। উভয় সময়েই বেগম জিয়ার শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়েছিল।
দৈনিক গণঅধিকার সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।