
জেলা প্রতিনিধি কুষ্টিয়া
তোমারেই যেন ভালোবাসিয়াছি শতরূপে শতবার
রবি ঠাকুরের১৬২ তম জন্মজয়ন্তিতে সেরা প্রযোজনা ছিলো ‘চর্যাপদ’ কুষ্টিয়ার

সারা বাংলার অহংকার রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের
১৬২ তম জন্মজয়ন্তীতে বিশ্বকবি রবি ঠাকুরের প্রাণের নিবাস কুষ্টিয়া শিলাইদহ কুঠিবাড়িতে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল তিন দিনব্যাপী মনোমুগ্ধকর সাহিত্য শিল্পকর্ম যা কুঠিবাড়িটিকে ফুটিয়ে তুলেছিল এক অন্যরকম দৃশ্যমানে।
কুষ্টিয়া জেলা শিল্পকলার তত্ত্বাবধায়নে প্রতিবছরের ন্যায় এবছর ও জেলার প্রতিটি শিল্পগোষ্ঠী ও সংঘ অংশ নেয় বিশ্ব কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬২ তম জন্মজয়ন্তী উৎসব উপলক্ষে কুষ্টিয়া শিলাইদহে। এছাড়াও কলকাতা থেকে আগত শিল্পী বৃন্দের সমন্বয়ে অনুষ্ঠানটি রূপ নেয় তিন দিন ধরে এক দোদুল্যমান পটভূমিতে। উপচে পড়া অনুষ্ঠানের জনস্রত বলে দেয় বাঙালি কতটা ভালোবাসে রবি ঠাকুরকে।
এবছর কুষ্টিয়া জেলার সকল সাহিত্য সংগঠনগুলি রবি ঠাকুরের রচিত সাহিত্যকর্ম গুলোকে তুলে ধরেছেন তাদের
শৈল্পিক মাত্রায়। কোন কোন সংগঠনগুলো শুধু মাত্র আবৃত্তি করেছে, কোন কোন সংগঠনগুলি নৃত্যের মাধ্যমে শেষ করেছে তাদের অনুষ্ঠান আবার কোন কোন সংগঠনগুলি পরিসমাপ্তি ঘটিয়েছে গানের মাধ্যমে পূর্ণতার ছোঁয়া।
পুরো তিন দিনব্যাপী অনুষ্ঠানে যতগুলো সংগঠন অংশগ্রহণ করেছে তাদের মধ্যে সেরা প্রযোজনা নির্বাচিত হয়েছে চর্যাপদ কুষ্টিয়ার প্রযোজনাটি।
প্রযোজনাটি সাজিয়েছেন চর্যাপদ কুষ্টিয়ার সভাপতি আনোয়ার কবির বকুল। একাধারে যেমন ছিল তার প্রযোজনাটিতে কবিতার ছন্দ, ছিল সুরের ঝংকার ছিল নৃত্য এবং মনোমুগ্ধকর গীতিনাট্য। রবি ঠাকুরের অনন্ত প্রেম কবিতাটি যৌথভাবে আবৃত্তি করায় দর্শক হৃদয়ে স্থান করে নেয় সে যেন সত্যিই অনন্ত প্রেম যা কখনও নিঃশেষিত নহে। কবিতাটিতে কন্ঠ দিয়েছিলেন দেওয়ান মনতাজ ইমরান এবং মাশনূর এ মায়শা। এছাড়া প্রিয় রবীন্দ্রনাথের হঠাৎ দেখা, আষাঢ়,তাছাড়া ছিল গান নৃত্য ও গীতিনাট্য যা সম্পূর্ণরূপে অনবদ্য রূপ এনে দেয় মাত্র ৩০ মিনিটে একটি প্রযোজনায়। অল্প সময়ে সুসজ্জিত করে খুব অল্প কিছু শৈল্পিক মাত্রা নিয়ে রুপ ধরায় চর্যাপদ কুষ্টিয়ার এ বছরে রবি ঠাকুরের ১৬২ তম জন্মজয়ন্তীর অনুষ্ঠানের প্রযোজনাটি। কারণ প্রযোজনাটিতে ছিল ভিন্নমাএার স্বাদ যা দর্শক হৃদয়ে এক নতুন দিগন্তের দার উন্মোচন করে। এবছরের সেরা প্রযোজনাটি করে চর্যাপদ কুষ্টিয়া এমন কথা নিজে মুখে দৈনিক গণঅধিকার নিউজ কে বলেছেন কুষ্টিয়া জেলা শিল্পকলার কালচারাল এক্সিকিউটিভ সুজন রহমান।
৩০ মিনিটের এই প্রযোজনাটি সঞ্চালনার দায়িত্বে ছিলেন
মাসনূরে মাইশা এবং তুলি মেহজাবিন। অনুষ্ঠানটিকে আরও মনমুগ্ধকর করতে বাসি হাতে ছিলেন তনু এবং
তবলা ও ঢোলে ছিলেন মীর আতিক। সব থেকে চমকপ্রদ চমকপ্রদ গীতিনাট্যের মূল চরিত্রে ছিলেন প্লাবন ও সারা। ভিন্নমাত্রার এই গীতিনাট্যটি ছিল প্রযোজনাটির সব থেকে আকর্ষণীয় এবং ব্যতিক্রম একটি শৈল্পিক মাত্রা যা দর্শক হৃদয়ে সুখের প্লাবন বই নিয়ে আসে এভাবেই সকলের মুখে মুখে এ বছরের সেরা প্রযোজনাটি চর্যাপদ কুষ্টিয়ার
কৃতিত্বই বলে স্বীকার করছেন সকলে।

দৈনিক গণঅধিকার সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।