হালদা সেতু এখন মরণ ফাঁদ – দৈনিক গণঅধিকার

হালদা সেতু এখন মরণ ফাঁদ

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ | ৩:৫০ 66 ভিউ
ফটিকছড়ি ও হাটহাজারী উপজেলার সীমান্ত বরাবর হালদা নদীর ওপর নির্মিত দুঃখখ্যাত শতবর্ষী নাজিরহাট পুরাতন সেতু। ১৯২৩ সালে নির্মিত ঝুঁকিপূর্ণ সেতুতে লাখ লাখ মানুষ দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন প্রতিনিয়ত। ভুক্তভোগীরা সেতুটি দ্রুত মেরামতের দাবি জানিয়ে আসছেন অনেক বছর ধরে। এদিকে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সেতুটি পুনর্নির্মাণের নথি স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের (এলজিইডি) প্রধান কার্যালয়ে এবং সেতু মন্ত্রণালয়ে রয়েছে। চট্টগ্রাম শহর থেকে নাজিরহাট হয়ে খাগড়াছড়ি পৌঁছার অন্যতম মাধ্যম ছিল এ সেতুটি। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি বাহিনী সেতুটির পশ্চিম অংশ বোমা মেরে গুঁড়িয়ে দেয়। স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সহযোগিতায় সেতুটি সংস্কার করা হয়েছিল। সড়ক ও জনপথ (সওজ) সূত্রে জানা গেছে, এক সময় চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি সড়কের সব যানবাহন পুরাতন হালদা সেতু দিয়ে চলাচল করত। তবে এর এক কিলোমিটার দূরে ১৯৯০ সালে নতুন হালদা সেতু তৈরি হওয়ায় ভারি যানবাহন ওই সেতু দিয়ে চলাচল করে। বর্তমানে হাটহাজারী উপজেলা ও ফটিকছড়ির বেশ কয়েকটি এলাকার মানুষ এই সেতু দিয়ে নাজিরহাট বাজারে যাতায়াত করে। ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় এ সেতু দিয়ে গাড়ি চলাচল করে না। সেতুর মুখে সাইনবোর্ড দিয়েছে সড়ক ও জনপথ বিভাগ এবং উপজেলা প্রশাসন। গত ৪ বছর আগে পাহাড়ি বন্যার তোড়ে সেতুটির মাঝখানে ধসে যায়। বর্তমানে সেতুটি শত ভাগ অকেজো হলেও পারাপার বন্ধ নেই। সেতুটিতে যে কোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। নাজিরহাট পৌর মেয়র এস এম সিরাজ উদ দৌল্লাহ বলেন, নাজিরহাট বাজারের অধিকাংশ ক্রেতা ও বিক্রেতা হালদার পশ্চিম পাড়ের বাসিন্দা। পুরাতন সেতুটির মাঝখানে তিন ফুটের মতো ৩ বছর আগে দেবে যায়। তখন প্রশাসন এটি বন্ধ করে দিয়েছিল। পরে আবার চালু করে। সেতুটি দ্রুত পুনর্নির্মাণের দাবি জানিয়ে তিনি কয়েক দফা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে চিঠি লেখা হয়েছে। ফটিকছড়ি উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী তন্ময় নাথ বলেন, নাজিরহাট পুরাতন হালদা সেতুটি বন্যা ও পাহাড়ি ঢলে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। এটি ভেঙে ১০০ মিটার দীর্ঘ নতুন সেতু তৈরির জন্য আমরা সয়েল টেস্ট সম্পন্ন করেছি। এলজিইডির সেতু প্রকল্পের একটি টিম এটি পরিদর্শন করেছে। এই সেতুর নথিটি এখন আমাদের প্রধান কার্যালয়ে আছে বলে জানি। চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এটিএম পেয়ারুল ইসলাম বলেন, ব্রিটিশ পাকিস্তান বাংলাদেশ তিন আমলের নাজিরহাট পুরাতন হালদা সেতু। দীর্ঘদিন ধরে দুর্ভোগ পোহাচ্ছে দুই পাড়ের মানুষ। সেতুটির জন্য স্থানীয় সরকার বিভাগ ও সেতু মন্ত্রণালয়ে বিভিন্ন সময় খোঁজ নিয়েছি। এ সেতুটি পুনর্নির্মাণের জন্য এখনো চেষ্টা করে যাচ্ছি। বাকেরগঞ্জ সংবাদদাতা বাকেরগঞ্জ বরিশাল থেকে জানান, বাকেরগঞ্জ উপজেলায় দুধল ইউনিয়নের সতরাজ বাজার সংলগ্ন সতরাজ খালের ওপর নির্মিত সেতুটি এখন মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। দুধল ইউনিয়নের সতরাজ, দক্ষিণ দুধল, দত্রবাদ, কবিরাজ, সরশী গ্রামের হাজার হাজার মানুষ প্রতিদিন এই সেতু পারাপার হয়ে উপজেলা শহরে আসা যাওয়া করেন। সতরাজ বাজারসহ ৫ গ্রামের এই সংযোগ সেতুটির মাঝ খানে ভেঙ্গে গিয়ে পলেস্তারা খসে পড়েছে। সেতুর মাঝখানে পিলার ভেঙ্গে পড়েছে। সেতুটি মাঝখান দিয়ে দেবে গেছে। একদিকে হেলে পড়েছে। স্থানীয় লোকজন সেতুর ভাঙ্গা স্থানে গাছের গুঁড়ি ফেলে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হচ্ছে। বিকল্প কোনো সড়ক না থাকায় প্রতিদিন ওই সেতু দিয়ে দক্ষিণ দুধল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, দুধল ইসলামিয়া কামিল মাদ্রাসা, ডিকেপি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, মডেল স্কুল, দত্রবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কোমলমতি শিশু ও স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীসহ হাজার হাজার মানুষ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করেন। দুধল ইউপি চেয়ারম্যান উজ্জল হোসেন বলেন, সেতুটি প্রায় ৫ বছর আগে মাঝখান থেকে ভেঙ্গে দেবে গেছে। এখন চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। মাঝখানে বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। বিভিন্ন স্থানে ফাটল ধরেছে। দুর্ঘটনা এড়াতে দ্রুত নতুন করে নির্মাণ করা ছাড়া আর কোনো উপায় নেই। সংশ্লিষ্ট দপ্তর গুলোতে অনেক চেষ্টা করেও এখনো পর্যাপ্ত কোন সুফল হয়নি। উপজেলা প্রকৌশলী আবুল খায়ের মিয়া বলেন, সরেজমিনে গিয়ে সেতুর পরিস্থিতি দেখেছি। সেতুটি নতুন করে নির্মাণ করার জন্য আন্ডার ১০০ মিটার প্রজেক্টে দেওয়া হয়েছে।

দৈনিক গণঅধিকার সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ট্যাগ:

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
কুষ্টিয়ার স্বনামধন্য ইংলিশ প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। স্বনামধন্য ইংলিশ প্রতিষ্ঠান CEL এর প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী অনুষ্ঠিত ভূ-রাজনীতির ফাঁদে বাংলাদেশ শায়েস্তাগঞ্জ পূজা উদযাপন সাড়ে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি ওসির! ইসরাইলের অভিযান নিয়ে যা বললেন পুতিন বেরিয়ে আসছে ব্যাটারদের হতশ্রী চেহারা নিউজিল্যান্ডের কাছে ৮ উইকেটের হার উন্নয়নের কারণে আমরা উন্নত জীবন যাপন করতে পারছি: শিক্ষামন্ত্রী মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণসহ চার অগ্রাধিকার নীতি ঘোষণা চালকের কিস্তি আর সংসারের চাকা ঘুরাল ‘টিম পজিটিভ বাংলাদেশ’ রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেওয়ার পরিণতি ভালো হয় না: ফখরুল পিটার হাসের বক্তব্যের প্রতিবাদে যা বললেন সাংবাদিকনেতারা ‘কোনো চুক্তিতে দেশে ফিরছেন না নওয়াজ শরিফ’ পদার্থে নোবেল পেলেন ৩ জন ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট দমনে কঠোর অবস্থানে সরকার: বাহাউদ্দিন নাছিম সেপ্টেম্বরে সারা দেশে ১৫৭৭ অগ্নিকাণ্ড, ১১ প্রাণহানি ৩ মেয়েকে হত্যার পর নিখোঁজের নাটক মা-বাবার! এবার অগ্নিসংযোগের মতো ঘটনা ঘটালে রেহাই নেই: প্রধানমন্ত্রী এবার দুদকের মামলায় ড. ইউনূসসহ ১৩ জনকে তলব ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট দমনে কঠোর অবস্থানে সরকার: বাহাউদ্দিন নাছিম ডেঙ্গুতে সহস্রাধিক মৃত্যু শক সিনড্রোমের রোগীকে দ্রুত হাসপাতালে নিতে হবে