নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি
আরও খবর
কুমিল্লায় মায়ের সামনে সহকারী কমিশনারের গাড়ির চাকায় পিষ্ট হয়ে দুই বছরের শিশু ফাইজা নিহত
খালেদা জিয়ার রোগ মুক্তির কামনায় বিএনপির দোয়া মাহফিল
চুনারুঘাটে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে সৎ মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগ
বগুড়ায় মাদকসহ ৭ জন গ্রেফতার, কারাদণ্ড ও জরিমানা
বগুড়ায় ডিএনসির হুঙ্কার, ৯ জনের ভ্রাম্যমাণ আদালতে কারাদণ্ড
বগুড়ায় ৫০০ গ্রাম গাঁজাসহ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার
শেরপুরে গভীর রাতে আওয়ামীলীগের ঝটিকা মশাল মিছিল
ফতুল্লায় পরকিয়ার জেরে যুবক হত্যা, স্ত্রীসহ ছয়জন গ্রেপ্তার
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় সুমন খলিফা নামে ৩৫ বছর বয়সী এক যুবককে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় তাঁর স্ত্রী বাউলশিল্পী সোনিয়া আক্তারসহ ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পুলিশ বলছে, পরকিয়া সম্পর্কের জেরেই এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। হত্যায় ব্যবহৃত একটি চাপাতি ও একটি সুইচ গিয়ার ছুরি উদ্ধার করা হয়েছে।
বুধবার বিকেলে জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মিজানুর রহমান মুন্সী সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য দেন।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন—ফতুল্লার কাশীপুর ইউনিয়নের মেহেদী হাসান ওরফে ইউসুফ (৪২), তাঁর শ্যালক আব্দুর রহমান (২৮), বিল্লাল হোসেন (৫৮), আলমগীর হাওলাদার (৪৫), নান্নু মিয়া (৫৫) এবং সোনা খলিফার স্ত্রী সোনিয়া আক্তার। মঙ্গলবার রাতে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। মামলার আরেক আসামি মামুন পলাতক।
গত ১ ডিসেম্বর সকালে মধ্য নরসিংহপুর এলাকায় সড়কের ওপর থেকে সুমনের রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। তাঁর শরীরে ধারালো অস্ত্রের একাধিক আঘাত ছিল। সুমন বরিশালের আগৈলঝড়া উপজেলার আন্দারমানিক গ্রামের মন্টু খলিফার ছেলে। স্ত্রী সোনিয়াকে নিয়ে তিনি সাইনবোর্ড এলাকায় থাকতেন।
ঘটনার দিন রাতে নিহতের বাবা মন্টু খলিফা অজ্ঞাত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন।
এসপি মিজানুর রহমান বলেন, তদন্তে সোনিয়া ও মেহেদীর ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁদের দেওয়া তথ্যে অন্য আসামিরাও ধরা পড়ে। এটি পরিকল্পিত হত্যা।
জেলা পুলিশ জানায়, সোনিয়া বিভিন্ন অনুষ্ঠানে গান করে সংসার চালাতেন। প্রায় দুই মাস আগে এক অনুষ্ঠানে মেহেদীর সঙ্গে তাঁর পরিচয় থেকে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। টাকা লেনদেনসহ নিয়মিত যোগাযোগ করতেন তাঁরা। সুমন বিষয়টি জেনে ফেলায় দাম্পত্যে অস্থিরতা তৈরি হয়। এরপরই হত্যার পরিকল্পনা করেন আসামিরা।
তদন্ত কর্মকর্তা এসআই ইয়াসিন আরাফাত বলেন, মামলাটি ক্লু-লেস ছিল। প্রযুক্তির সহায়তায় আসামিদের শনাক্ত করা হয়েছে। হত্যার পরিকল্পনার নেতৃত্ব দেন মেহেদী। তাঁর স্বীকারোক্তিতে সোনিয়ার সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পাওয়ায় তাকেও গ্রেপ্তার করা হয়।
পুলিশ জানায়, ঘটনার রাতে টাকা দেওয়ার কথা বলে মেহেদী সুমনকে পঞ্চবটি থেকে অটোরিকশায় তুলে নেন। পরে মধ্য নরসিংহপুরের একটি নির্জন স্থানে নিয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাঁকে হত্যা করা হয়।
বুধবার দুপুরে মেহেদী এবং তাঁর শ্যালক আব্দুর রহমান আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।



দৈনিক গণঅধিকার সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।