নিউজ ডেক্স
আরও খবর
পায়ে হেঁটে হজে যাচ্ছেন গাইবান্ধার আলম আলী
অফিস-আদালত খুললেও জমজমাট বিনোদন কেন্দ্রগুলো
রাজধানীর পশুহাট গুলোতে লাখের নিচে গরু নেই
বাস টার্মিনালে তদারকি করছে বিআরটিএ ; অনিয়ম পেলেই ব্যবস্থা
প্রেমের টানে চট্টগ্রামে শ্রীলঙ্কান তরুণী পচলা
রাজধানীর পশুহাটে কোরবানির পশু প্রবেশ শুরু
মধুমাসের ফলে ছেয়ে গেছে বাজার, মূল্য ক্রয়ক্ষমতার উর্ধ্বে
প্রধান শিক্ষককে পেটালেন সহকারী শিক্ষক
সিরাজগঞ্জে সহকারী শিক্ষকের অবসরজনিত বিদায় অনুষ্ঠানের মানপত্র আনতে দেরি হওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়ে প্রধান শিক্ষককে বেধড়ক পিটিয়ে রক্তাক্ত করেছেন বিদায়ী শিক্ষক ও তার দুই ছেলে।
রোববার (২৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে তাড়াশ উপজেলার তালম ইউনিয়নের জন্তিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল রাজ্জাক ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মকবুল হোসেনকে নিয়ে দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার বাজার থেকে মানপত্রটি সংগ্রহ করে প্রতিষ্ঠানে যান। পরে বিদায়ী শিক্ষক জয়নুল আবেদীন প্রধান শিক্ষককে মানপত্র আনতে দেরি হওয়ার কারণ জিজ্ঞাসা করেই অকথ্যভাষায় গালিগালাজ শুরু করেন। এর প্রতিবাদ করলে তাকে বেধড়ক মারধর করেন।
আহত প্রধান শিক্ষক আব্দুর রাজ্জাক বলেন, আমি বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক জয়নুল আবেদীনের অবসরজনিত বিদায় অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিলাম। কিন্তু মানপত্র তাকে দিতে একটু দেরি হওয়ায় সে ও তার দুই ছেলে মিলে আমাকে মারধর করে রক্তাক্ত করেছে। আমি এখন সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি।
ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মকবুল হোসেন বলেন, আমার চোখের সামনে যা ঘটেছে তা ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়। একজন প্রধান শিক্ষককে আরেকজন সহকারী শিক্ষক কীভাবে প্রকাশ্যে মারধর করতে পারেন? তিনি এ ঘটনায় জড়িত বিদায়ী শিক্ষকের শাস্তি দাবি করেন।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মুসাব্বির হোসেন বলেন, আহত প্রধান শিক্ষক সশরীরে অফিসে উপস্থিত হয়ে বিষয়টি জানিয়েছেন। তাকে একটি লিখিত অভিযোগ দিতে বলেছি। অভিযোগপত্র হাতে পেলে বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তবে ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত শিক্ষক জয়নুল আবেদীনের মোবাইলফোন বন্ধ থাকায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
তাড়াশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুল ইসলাম বলেন, আহত প্রধান শিক্ষক থানায় এসেছিলেন। আমরা তাকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠিয়েছি। তার অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে অবশ্যই আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তাড়াশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুল ইসলাম বলেন, আহত প্রধান শিক্ষক থানায় এসেছিলেন। আমরা তাকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠিয়েছি। তার অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে অবশ্যই আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
দৈনিক গণঅধিকার সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।