
নিউজ ডেক্স
আরও খবর
বিজ্ঞাপনে আইন লঙ্ঘন সাড়ে ২৭ হাজার বার

দেশের বিভিন্ন কোম্পানি তামাকজাত দ্রব্যের বিজ্ঞাপনে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন প্রায় সাড়ে ২৭ হাজার বার লঙ্ঘন করেছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ তামাকবিরোধী জোট।
বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘দেশব্যাপী তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন লঙ্ঘন : সিগারেট কোম্পানি বেপরোয়া’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধন চূড়ান্ত, টাস্কফোর্স কমিটি গঠনসহ আটটি সুপারিশ করেছে বাংলাদেশ তামাকবিরোধী জোট।
সংবাদ সম্মেলনে মূল প্রবন্ধে গ্রামবাংলা উন্নয়ন কমিটির নির্বাহী পরিচালক একেএম মাকসুদ বলেন, ২০০৫ সালে ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইন প্রণয়ন এবং এর কাঙ্খিত সুফল নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট বিধি জারি করা হয়।
কিন্তু বিস্ময়ের সঙ্গে লক্ষ্য করছি, দেশের তামাক কোম্পানিগুলো আইন ভঙ্গ করে নানা অপকৌশলের আশ্রয় নিয়ে তামাকজাত দ্রব্যের বিজ্ঞাপন ও প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে এবং বিক্রেতাদের উৎসাহিত করছে।
সম্প্রতি দেশের ৫টি সিটি করপোরেশন, ১৬টি জেলা, ৩২টি পৌরসভায় পরিচালিত জরিপে ২২ হাজার ৭২৩টি বিক্রয়কেন্দ্রে তামাকজাত দ্রব্যের বিজ্ঞাপন ও প্রচারণা কার্যক্রমের তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। এই বিজ্ঞাপনগুলোতে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের প্রায় সাড়ে ২৭ হাজার লঙ্ঘন চিহ্নিত করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে তামাকবিরোধী জোটের করা ৮ সুপারিশের মধ্যে রয়েছে- দ্রুততম সময়ে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনী চূড়ান্ত করা। তামাক কোম্পানির প্রভাব থেকে নীতি সুরক্ষার এফসিটিসির অনুচ্ছেদ ৫.৩ অনুসারে ‘কোড অব কন্টাক্ট গ্রহণ’।
জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি দ্রুত চূড়ান্ত এবং দেশব্যাপী যথাযথ কার্যক্রম গ্রহণ করা। টাস্কফোর্স কমিটিগুলো সক্রিয় করা, কমিটির ত্রৈমাসিক সভা নিয়মিতকরণ সভার সিদ্ধান্তগুলো বাস্তবায়ন করা। আইন লঙ্ঘনের দায়ে তামাক কোম্পানি/প্রতিনিধিকে আর্থিক জরিমানার পাশাপাশি জেল দেওয়া।
আইন লঙ্ঘনকারী তামাক কোম্পানিগুলোর বিরুদ্ধে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করা। তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন মনিটরিং কার্যক্রমের সঙ্গে বেসরকারি সংস্থাগুলোকে সম্পৃক্ত করা এবং প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুসারে একটি শক্তিশালী তামাক নীতি প্রণয়ন বাস্তবায়ন করা।
পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলনের চেয়ারম্যান আবু নাসের খানের সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সিএলপিএ ট্রাস্টের সেক্রেটারি সৈয়দ মাহবুবুল আলম, ডাসের টিম লিডার আমিনুল ইসলাম বকুল, টিসিআরসির প্রকল্প পরিচালক বজলুর রহমান, ডব্লিউবিবি ট্রাস্টের হেড অব প্রোগ্রাম সৈয়দা অনন্যা রহমান প্রমুখ।
দৈনিক গণঅধিকার সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।