
নিউজ ডেক্স
আরও খবর

নির্বাচন জুলাই সনদের ভিত্তিতে হতে হবে: জামায়াত

জুলাই ঘোষণাপত্র নতুন গণতান্ত্রিক বাংলাদেশে রূপান্তরের শুরু : ফখরুল

মেহেরপুর পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক পদে মনোনয়ন সংগ্রহ করেছেন এ্যাডঃ এহান উদ্দিন মনা

কুমিল্লার মুরাদনগরে বিএনপি-এনসিপি সংঘর্ষ: সাংবাদিকসহ আহত ৭১

রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা ছাড়াই বাজেট দিয়েছে সরকার: বিএনপি

নির্বাচন ইস্যুতে সরকার ও বিএনপির দূরত্ব কি তিক্ততার দিকে যাচ্ছে?

ভিপি নুরকে নিয়ে ডিএনসিসির অভিযোগ সত্য নয়: গণঅধিকার পরিষদ
নির্বাচিত সরকার ছাড়া দেশের উন্নয়ন সম্ভব নয়: রাজশাহীতে মেজর হাফিজ

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, নির্বাচিত সরকার ছাড়া উন্নয়ন সম্ভব নয় । পতিত সরকার হাজার হাজার কোটি টাকা লুট করেছে, বিএনপি নেতাকর্মীদের হত্যা ও নির্যাতনের মাধ্যমে দেশকে অস্থির করেছে। এখনো হাজার হাজার নেতাকর্মী মামলায় হাজিরা দিয়ে বেড়াচ্ছেন। তবে আল্লাহ ছাড় দেন, কিন্তু কাউকে ছাড়েন না। বুধবার (৬ আগস্ট) বিকেলে রাজশাহী মহানগরীর আলুপট্টি মোড়ে আওয়ামী ফ্যাসিবাদের পতন ও ছাত্র-জনতার বিজয়ের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত বিজয় র্যালি পূর্ব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। মেজর হাফিজ বলেন, সেই সরকার একনায়কতন্ত্র কায়েম করেছিল, বাকশাল প্রতিষ্ঠা করেছিল। জনগণের অধিকার হরণ করেছিল। বিএনপির দীর্ঘ আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় আজ সে ফ্যাসিস্ট সরকার ইতিহাস হয়ে গেছে। ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার বিজয়ের দিন। তিনি জানান, প্রধান উপদেষ্টা আগামী ফেব্রুয়ারির মধ্যে জাতীয় নির্বাচন দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী এ ঘোষণা এসেছে। অথচ কিছু রাজনৈতিক দল নির্বাচন চায় না। তারা জানে—নির্বাচনে একটি আসনও পাবে না। তারা চায় বিচার, চায় ক্ষমতাসীনদের শাস্তি। কিন্তু নির্বাচিত সরকার ছাড়া দেশে উন্নয়ন সম্ভব নয়। জনগণ যাকে ভোট দেবে, তারাই দেশ পরিচালনা করবে। তিনি আরও বলেন, ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধ হয়েছিল গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার জন্য। সেই ঘোষণা দিয়েছিলেন বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান। কিন্তু ফ্যাসিস্ট হাসিনা সেই গণতন্ত্র আবার দমন করেছিলেন। এ থেকে মুক্তি পেতেই বিএনপি ১৭ বছর ধরে আন্দোলন করেছে। ৩৬ জুলাইয়ের আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় খুনি হাসিনা দেশ ছাড়তে বাধ্য হয়, তবে যাওয়ার আগে প্রায় দুই হাজার মানুষকে হত্যা করে। র্যালি ও সমাবেশ বক্তব্য শেষে আলুপট্টি মোড় থেকে একটি বিজয় র্যালি বের করা হয়, যা নগরীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে বাটার মোড়ে গিয়ে শেষ হয়। র্যালিতে অংশগ্রহণকারীরা বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন, রাজশাহী মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট এরশাদ আলী ঈশা। প্রধান বক্তা ছিলেন বিএনপির রাজশাহী বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ শাহীন শওকত খালেক। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, আবু সাইদ চাঁদ, সদস্য, বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটি ও রাজশাহী জেলা বিএনপি’র আহ্বায়ক, সাইফুল ইসলাম মার্শাল, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক, দেবাশীষ রায় মধু, সদস্য, আবু বকর সিদ্দিক, আহ্বায়ক, পুঠিয়া উপজেলা বিএনপি। এছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব মামুন অর রশিদ মামুন, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অধ্যাপক বিশ্বনাথ সরকার, মহানগর ও জেলার বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। সমাবেশে রাজশাহী মহানগর ও জেলা বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, কৃষক দল, শ্রমিক দল, মহিলা দলসহ বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা অংশগ্রহণ করেন।
দৈনিক গণঅধিকার সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।