নিউজ ডেক্স
আরও খবর
মুন্সীগঞ্জে বিএনপি দু-গ্রুপের সংঘর্ষ ৭ দিনে নিহত ২
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে ট্রাক-সিএনজি অটো’র ত্রিমুখি সংঘর্ষে নিহত-৩, আহত ৫
কক্সবাজারের উখিয়া বাজারে ভয়াবহ আগুন,নিহত ১ আহত অন্তত ১০
নারায়ণগঞ্জে ভাবি-ভাতিজা খুনের দায়ে দেবরের ফাঁসি
গঙ্গাচড়ায় আলোচিত বাক ও বুদ্ধি প্রতিবন্ধী কিশোরী ধর্ষণ মামলার আসামি মাসুদ যশোর থেকে গ্রেফতার
শেরপুরে কৃষি কর্মকর্তাকে ছাত্রদল নেতার থাপ্পড় ; অভিযুক্ত রাহাতকে বহিষ্কার
মাগুরা-২ আসনে ধানের শীষের কান্ডারী এ্যাডঃ নিতাই রায় চৌধুরী
বিচারকের পরিবারের ওপর হামলা: সম্পর্ক, টাকা নাকি প্রতিশোধ?
রাজশাহীতে বিচারকের বাড়িতে ঢুকে ছেলেকে হত্যার অভিযোগ পূর্ব পরিচিত যুবকের বিরুদ্ধে। পুলিশ বলছে, ক্রমাগত টাকা চাওয়ার পরও না দেয়ায় এই ঘটনা ঘটতে পারে। নিরাপত্তার শঙ্কায় বিচারকের পরিবার ১০ দিন পূর্বে সিলেটে করেছিলেন সাধারন ডায়রিও (জিডি)। কিন্তু এরপরও থামানো যায়নি হতাহতের ঘটনা। তবে এ ঘটনায় বিচার সংশ্লিস্ট বিষয়ের কোন সূত্র পাওয়া যায়নি।
স্থানীয়ার জানিয়েছে, রাজশাহী নগরীর সিটি হাট বাইপাসের ডাবতলা এলাকার স্পার্ক ভিউ নামের দশতলা ভবনের ৫ তলায় একটি ফ্ল্যাটে থাকতেন বিচারক আব্দুর রহমান ও তার পরিবার। বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) বিকেল তিনটা নাগাদ পূর্ব পরিচিত যুবক লিমন মিয়া সেই বাসায় প্রবেশ করেন বিচারকের ভাই পরিচয়ে। প্রবেশের আধা ঘণ্টা পর বাড়ির গৃহকর্মী নিচে থাকা দারোয়ানকে খবর দেন হতাহতের। তৎক্ষণাৎ মূল ফটক বন্ধ করে ফ্লাট থেকে আহত অবস্থায় লিমন মিয়া, বিচারক আব্দুর রহমানের স্ত্রী তাসনীম নাহার লুসী এবং তাদের পুত্র সন্তান তাওসিফ রহমানের রক্তাক্ত দেহ নিচে আনা হয়।
জানা গেছে, তিনজনকেই রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসক তাওসিফ রহমানকে মৃত ঘোষণা করেন। বাকি দুইজন মুমূর্ষ অবস্থায় এখনও হাসপাতালে ভর্তি।
তবে কি নিয়ে কিভাবে এই হতাহতের ঘটনা ঘটেছে তা পরিস্কার নয়। পুলিশ বলছে, তাসনীম নাহার লুসী পরিবারের সদস্যদের সুরক্ষায় গত ৩ নভেম্বর সিলেটের জালালাবাদ থানায় লিমন মিয়ার নামে একটি সাধারন ডায়রি করেছিলেন। যেখানে উল্লেখ আছে, কোন্টাম ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে লিমনের সঙ্গে তাদের পরিচয়। এরপর থেকেই নানা ভাবে সে তাসনীম নাহারের কাছ থেকে টাকা চেয়ে নিতেন। না দিতে চাইলে মেরে ফেলার হুমকিও দেন।
পুলিশ জানিয়েছে, তাওসিফ রহমানের ডান পায়ে উরুর কাছে বড় কাটা ক্ষত পাওয়া গেছে। চিকিৎসকদের ধারণা ধারালো কিছুর আঘাতে এটি কেটে গিয়ে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তার মৃত্যু হয়েছে। এদিকে রাত ৮টার দিকে ঘাতক লিমন মিয়ার জ্ঞান ফিরেছে। হাসপাতালেই তাকে এ ঘটনায় গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তবে এখনও মুমূর্ষু তাসনীম নাহার।



দৈনিক গণঅধিকার সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।