
নিউজ ডেক্স
আরও খবর

ঠাকুরগাঁও ২ টাকায় চা-নাস্তা বিক্রি করেন নুর ইসলাম

পায়ে হেঁটে হজে যাচ্ছেন গাইবান্ধার আলম আলী

অফিস-আদালত খুললেও জমজমাট বিনোদন কেন্দ্রগুলো

বাস টার্মিনালে তদারকি করছে বিআরটিএ ; অনিয়ম পেলেই ব্যবস্থা

প্রেমের টানে চট্টগ্রামে শ্রীলঙ্কান তরুণী পচলা

রাজধানীর পশুহাটে কোরবানির পশু প্রবেশ শুরু

মধুমাসের ফলে ছেয়ে গেছে বাজার, মূল্য ক্রয়ক্ষমতার উর্ধ্বে
রাজধানীর পশুহাট গুলোতে লাখের নিচে গরু নেই

রাজধানীর মোহাম্মদপুরের বাসিন্দা সাহেদ হোসাইন। প্রতি বছর প্রতিবেশীদের সঙ্গে শরিকে কোরবানি দেন। তাদের ৩ পরিবারের কোরবানির বাজেট ৭০ থেকে ৮০ হাজার টাকা। গত দুইদিন ধরে তারা রাজধানীর হাট থেকে হাটে ঘুরছেন পশু কিনতে। তবু বাজেটের মধ্যে পাচ্ছেন না। শনিবার (১৫ জুন) দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ঘুরে গাবতলী হাটে গরু কিনতে না পেরে অন্য হাটে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। আজমল হোসাইন বলেন, ‘এ বছর হাটগুলোতে ছোট আকারের কোরবানির পশুর সংখ্যা কম। যদিও কিছু পাওয়া যায়, কিন্তু ব্যাপারীরা দাম চাচ্ছে অনেক। বলা চলে, লাখ টাকার নিচে গরু নেই।’
বিগত বছরের তুলনায় এ বছর গোখাদ্যের বেশি দামকে পশুর দাম বৃদ্ধির কারণ হিসেবে বলছেন ব্যবসায়ীরা। রাজধানীর পশুর হাটগুলোতে ছোট আকারের গরুর চাহিদা বেশি থাকলেও এবার ছোট গরুর সংখ্যা কম। বেশির ভাগ হাটে লাখ টাকার নিচে গরু পাচ্ছেন ক্রেতারা। বিশেষ করে গাবতলী হাটে ছোট আকারের গরু নেই। অন্য হাটগুলোতে সামান্য কিছু ছোট গরু পাওয়া গেলেও দাম ছাড়ছেন না বিক্রেতারা। অধিকাংশ হাটে ছোট ও মাঝারি আকারের গরুর দাম লাখ টাকার ওপরে।
ঈদুল আজহার বাকি আর মাত্র একদিন। এ বছর কোরবানির ঈদকে কেন্দ্র করে রাজধানীতে দুই সিটি করপোরেশনে স্থায়ী ও অস্থায়ী মিলে ২২ টি হাটের ইজারা দেওয়া হয়েছে। ঈদের শেষ মুহূর্তে রাজধানীর সবগুলো হাটে ক্রেতার উপচে পড়া ভিড়। বিক্রেতারা বলছেন, গোখাদ্যসহ পশু পালনে খরচ বেড়ে যাওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই বেড়েছে গরুর দাম। আর ছোট আকারের গরু আনলে লাভ হয় না। সে কারণে এবছর ছোট গরু কম এসেছে। ক্রেতারা বলছেন, দিন দিন কোরবানির পশুর দাম বাড়ছে। বাজেট অনুযায়ী ছোট ও মাঝারি আকারের গরু পাওয়া যাচ্ছে না।
মিরপুর-১২ নম্বর থেকে গাবতলী হাটে এসেছেন মো. জিল্লুর রহমান। তিনি বলেন, ২ ঘণ্টা যাবত মাঝারি আকারের গরু খুঁজছি। এখন আমার বাজেট বা সামর্থ্য অনুযায়ী গরু পাচ্ছি না। ব্যাপারীরা দাম বেশি চাচ্ছে। গতবারের তুলনায় এবার ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা বেশি দাম চাইছে। আগারগাঁও এলাকা থেকে আসা ফাহিম বলেন, তিন ঘণ্টা যাবত ছোট বা মাঝারি আকারের গরু খুঁজছি। দামে মিলছে না, তাই কিনতে পারছি না। লাখ টাকার নিচে কোনও গরু পাওয়া যাচ্ছে না। গরু ধরলেই বলে দেড় থেকে ২ লাখ টাকা। আরেক ক্রেতা মো. আফছার হোসেন বলেন, ছোট একটি গরু ৯০ হাজার টাকা বলেছি। তবু বিক্রেতা দিচ্ছে না। এটা ঠিক যে সব কিছুর দাম বৃদ্ধি পাওয়া পশুর দামও বেড়েছে। তাই বলে লাখ টাকার মধ্যে গরু পাওয়া যাবে না। এটা কীভাবে হয়।
মানিকগঞ্জের সিংগাইর থেকে মাঝারি আকারের ৬টি গরু নিয়ে গাবতলী হাটে আসেন মো. ইয়াকুব আলী। তিনি বলেন, শুক্রবার সকালে হাটে আসছি। দুইদিনে মাত্র দুইটা গরু বিক্রি করতে পারছি। গরুর দাম চাচ্ছি এক লাখ ৪০ হাজার থেকে এক লাখ ৫০ হাজার টাকা। ক্রেতারা দাম বলে এক লাখ বা এক লাখ ১০ হাজার। মনে হচ্ছে এবার আমাগো অনেক লস (ক্ষতি) হইবো। আরেক ব্যাপারী মহিদ মিয়া বলেন, গোখাদ্যের দাম অনেক বেশি হওয়ায় গরুর দামও একটু বেশি। আমরা সারা বছর গরু লালন-পালন করি কোরবানিতে বিক্রি করা জন্য, তবে দাম পাই না। ক্রেতারা যে দাম বলে, এতে লাভের বদলে লোকসান হইবো।
ছোট গরু পাওয়া যাচ্ছে যেসব হাটে:
রাজধানীর বছিলা পশুর হাট, শাহজানপুর কোয়ার্টার হাট, কমলাপুর স্টেডিয়াম সংলগ্ন হাট, বাড্ডা নতুন বাজার বেড়াইদ হাট, বনশ্রী মেরাদিয়া হাট ও তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল এলাকার ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট হাটে ছোট আকারের গরু পাওয়া যাচ্ছে। তবে সংখ্যার বিচারে কমই বলতে হবে। ছোট আকারের গরু হিসাবে দাম কিছুটা বেশি বলেও জানান ক্রেতারা।
দৈনিক গণঅধিকার সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।